নাক ডাকা থেকে হৃদরোগের ঝুঁকি

গবেষণা বলছে যারা ঘুমে নাক ডাকেন তাদের অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএ) পরীক্ষা করা উচিত। যদি ওএসএ সমস্যা থাকে তবে দ্রুত চিকিৎসা করা প্রয়োজন।

কারণ নাক ডাকা কিংবা অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়াসমস্যা থেকে হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

নাক ডাকা মূলত অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগের লক্ষণ যা একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। কারণ এতে শ্বাস-প্রশ্বাস খুব ঘন ঘন বন্ধ ও শুরু হয়।

তবে নাক ডাকা ছাড়াও অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগের আরও কিছু লক্ষণ রয়েছে। এগুলো হলো ঘুমে তীব্র শ্বাসের অভাব অনুভব করা, ঘুম থেকে উঠলে মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ভোরে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা এবং মেজাজ খিটখিটে থাকা ইত্যাদি।

গবেষণা বলছে, নাক ডাকা কিংবা অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার ফলে হৃদযন্ত্রের প্রধান পাম্পিং চেম্বার অতিরিক্ত প্রসারিত হয়। এতে হৃদযন্ত্রকে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিশ্রম করতে হয়।

এ সমস্যার ফলে হৃদপিণ্ডের বাম প্রকোষ্ঠের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। ফলে মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীদের হৃদরোগের ঝুঁকির সম্ভাবনা বেশি।

জার্মানির মিউনিখ ইউনিভার্সিটি হসপিটালের প্রধান গবেষক আদ্রিয়ান কার্তা বলেন,অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার দ্বারা নারীদের কার্ডিয়াক প্যারামিটার অপেক্ষাকৃত বেশি প্রভাবিত হয়। তাই যেসব নারী নাক ডাকেন বা ওএসএ সমস্যায় ভুগছেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।

সুতরাং, যাদের ঘুমে নাক ডাকার অভ্যাস রয়েছে তাদের অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএ) পরীক্ষা করে দ্রুত চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষক আদ্রিয়ান কার্তা।

 

টাইমস/এএইচ/পিআর

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভারত কখনোই কোনো দেশ দখল করেনি : আরএসএস প্রধান Sep 15, 2025
img
ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ও গ্রহণে কিউআর কোড বাধ্যতামূলক করা হবে: গভর্নর Sep 15, 2025
img
নারী ফিফা রেফারি হওয়ার দৌড়ে খো খো অধিনায়ক Sep 15, 2025
img

এমি অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫

এমির মঞ্চে এবার বাজিমাত করলো যারা Sep 15, 2025
img
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন উইলিয়ামসন Sep 15, 2025
img
আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আরও ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Sep 15, 2025
img
বাংলাদেশে আরও সহযোগিতা বাড়াতে চায় আইএমএফ Sep 15, 2025
img
ডুয়া লিপার গায়ে পাকিস্তানের জার্সি! Sep 15, 2025
img
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন Sep 15, 2025
img
আমোরিমের অধীনে ইউনাইটেড ‘আরো খারাপ হয়েছে’: রুনি Sep 15, 2025
img
দেশে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ ঠেকাতে জরুরি বার্তা বিজিবির Sep 15, 2025
img
জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জামায়াতের Sep 15, 2025
img
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার ছক্কা হজম করলেন বুমরাহ Sep 15, 2025
img
সেবায় নৈতিকতা-মানবিক মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান বিএমইউ ভিসির Sep 15, 2025
img
গাজা সিটিতে জাতিসংঘের ১০টি ভবন ধ্বংস করেছে ইসরাইল Sep 15, 2025
img
রামেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল ১ জনের, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ১৩ Sep 15, 2025
img
ফিফার কাছে রেফারিদের বিরুদ্ধে নালিশ করবে রিয়াল মাদ্রিদ Sep 15, 2025
img
সারা দেশে শুরু হলো একাদশ শ্রেণির ক্লাস Sep 15, 2025
img

জুলাই গণঅভ্যুত্থান

আহত ও শহীদ পরিবারের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহযোগিতা করা হবে: আসিফ মাহমুদ Sep 15, 2025
img
পুলিশে ফের বড় রদবদল Sep 15, 2025