টোকিওতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

যথাযথ মর্যাদায় জাপানের রাজধানী টোকিওতে বাংলাদেশের ৪৯তম মহান বিজয় দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) মুহা. শিপলু জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, সোমবার সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দিনের কার্যক্রম শুরু হয় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে।

পতাকা উত্তোলন করেন দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ারস ড. শাহিদা আক্তার। পরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ দোয়া করা হয়।

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে পরবর্তী অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বানী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সেলর ড. জিয়াউল আবেদিন, বাণিজ্যিক কাউন্সেলর ড. আরিফুল হক, শ্রম কাউন্সেলর মো. জাকির হোসেন এবং প্রথম সচিব মুহা. শিপলু জামান।

আগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন ড. শাহিদা আক্তার। এসময় তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নিহত তার পরিবারের সদস্যদের, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো সকল বীর নারীকে। তিনি জাপান প্রবাসীসহ সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রম ও গতিশীল নেতৃত্বের ফলশ্রুতিতে বর্তমান বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল এবং আমাদের আর্থসামাজিক অগ্রগতি আজ সমগ্র বিশ্বে স্বীকৃত। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার এবং জাপানে বাংলাদেশের মর্যাদা অটুট রাখার আহ্বান জানান ড. শাহিদা।

পরে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জাপান প্রবাসী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি খাবার দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব আরিফ মোহাম্মদ।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
একাধিক ইস্যু নিয়ে ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ Jul 04, 2025
img
বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে হতবাক টাইগারদের সাবেক কোচ Jul 04, 2025
img
যুক্তরাজ্যে ভিন্ন নামে অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন নেতানিয়াহুর ছেলে! Jul 04, 2025
img
‘তদন্ত ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের শাস্তি দেওয়া যাবে না’ Jul 04, 2025
img
মাম্মুট্টির অভিনয় যাত্রা এখন কলেজের পাঠ্যসূচিতে Jul 04, 2025
img
নির্বাচন পদ্ধতি বদল নিয়ে রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ, বাড়ছে মতবিরোধ Jul 04, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযানে চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড Jul 04, 2025
img
জোতার মৃত্যুতে কাঁদছে ফুটবল বিশ্ব Jul 04, 2025
img
হঠাৎ অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি স্বস্তিকা দত্ত Jul 04, 2025
img
ভিয়েতনামের পণ্যে শুল্ক ছাড়, আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা Jul 04, 2025
img
ওয়ানডে ও টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করা তারকাদের দলে গিল Jul 04, 2025
img
গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই : ট্রাম্প Jul 04, 2025
img
দেশের বাজারে বাড়ল স্বর্ণের দাম Jul 04, 2025
img
পাবনায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩ Jul 04, 2025
img
কেন পরিচালকের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন পরেশ রাওয়াল? Jul 04, 2025
img
হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৬৪ হাজার ৮৬৪ হাজি Jul 04, 2025
img
ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি কমলেও বেড়েছে রপ্তানি ও রাজস্ব আয় Jul 04, 2025
img
বার্সা-রিয়ালের দুই মহারণ চূড়ান্ত, আবারও প্রাণ ফিরছে ক্যাম্প ন্যুতে Jul 04, 2025
img
ঢাকায় এক দিনে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা Jul 04, 2025
img
মুগদায় জনতার পিটুনিতে তরুণের মৃত্যু Jul 04, 2025