দিল্লির দাঙ্গা নিয়ে সোচ্চার সেই মুসলিম ছাত্রনেতা গ্রেপ্তার

ভারতের জনপ্রিয় মুসলিম নেতা, সোচ্চার কন্ঠস্বর ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাবেক নেতা উমর খালিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে দাঙ্গার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার গভীর রাতে দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।

বেআইনি কার্যকলাপ নিরোধক আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে উমর খালিদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এরই মধ্যে ভারতে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। করোনার কারণে জমায়েত নিষিদ্ধ থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলছে তীব্র প্রতিবাদ। এ নিয়ে ভারতীয়রা ব্যাপক সমালোচনা শুরু করেছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের আগে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে ওই সংঘর্ষ হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় রুপ নেয়।

দাঙ্গায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ৫৮১ জন। ওই সময় পুলিশের গুলিতেও অনেক মানুষ হতাহত হন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, দিল্লি সহিংসতার তদন্তে বেশ কিছু দিন ধরেই দিল্লি পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন মুসলিম ছাত্রনেতা উমর খালিদ। শাহিনবাগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন উমর খালিদ উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে দাবি পুলিশের। তবে তা বারবার নাকচ করে এসেছেন উমর খালিদ ও তার সংগঠন।

দিল্লি পুলিশের স্পেশাল টিমের দাবি, আম আদমি পার্টির (আপ) সাবেক কাউন্সিলর তাহির হুসেনের সঙ্গে মিলে দাঙ্গার ষড়যন্ত্র করেছিলেন উমর। এর আগে গত ৩ আগস্ট পুলিশ হেফাজতে দাঙ্গায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন কমিশনার তাহির হুসেন।

দিল্লি পুলিশের অভিযোগে বলা হয়েছে, দিল্লি সহিংসতার ঘটনায় গত ৬ মার্চ প্রথম উমর খালিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে বলা হয়, উস্কানিমূলক ভাষণ দেয়ার পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতে থাকাকালীন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে দিল্লিবাসীকে ইন্ধন দেন উমর।

যদিও দিল্লি পুলিশের আনা অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে আসছেন উমর। ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন। এমনকি গণমাধ্যমে উমর অভিযোগ করেন, ভারতে এই মুহূর্তে দুই ধরনের আইন চলছে। শাসক দলের সমর্থকদের জন্য একটি, অন্যটি সাধারণ মানুষের জন্য।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিএনপি কখনোই মানুষকে ছেড়ে পালিয়ে যায় না: ডা. জাহিদ  Nov 14, 2025
img
'ঘরের পোষা প্রাণীরা নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে জানে; আর বিনিময়ে কিছু চায়ও না' Nov 14, 2025
img
রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ২ জনের Nov 14, 2025
img
ফের মা হলেন কার্ডি বি Nov 14, 2025
img

আইপিএল

কেকেআরের নতুন বোলিং কোচ টিম সাউদি Nov 14, 2025
img
চলে গেলেন ধর্মেন্দ্রর প্রথম সিনেমার নায়িকা Nov 14, 2025
img
মেসির সম্মানে এবার বড় উদ্যোগ নিচ্ছে বার্সেলোনা Nov 14, 2025
img
দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করা ভুল হবে : সেনাপ্রধান Nov 14, 2025
img
নোয়াখালীর চাটখিলে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগে হামলার অভিযোগ Nov 14, 2025
img
ম্যাচসেরা হয়েও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না জয় Nov 14, 2025
img
নিরাপত্তা ইস্যুতে বন্ধ কনসার্ট, ভেন্যু বদলের চিন্তায় আয়োজক Nov 14, 2025
img
আমরা অনেকেই শিক্ষিত হই, কিন্তু সুশিক্ষিত হই না: সেনাপ্রধান Nov 14, 2025
img
আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে রংপুর-৬ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন মাসুম বিল্লাহ Nov 14, 2025
img

যুক্তরাজ্যের উন্নয়নমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত প্রধান উপদেষ্টার Nov 14, 2025
img
শ্রেয়ার কনসার্টে অপ্রীতিকর ঘটনায় অজ্ঞান ২ শ্রোতা Nov 14, 2025
img
আবার বিয়ে করতে যাচ্ছেন ইংল্যান্ড কিংবদন্তি স্ট্রস Nov 14, 2025
img
কিছু দল ভোটে হারার ভয়ে সরকারের ওপর নাখোশ: খোকন Nov 14, 2025
img
আইপিএল নিলামের আগে ট্রেডে দল পাল্টালেন ৬ তারকা ক্রিকেটার Nov 14, 2025
img
আগে গণভোট পরে জাতীয় নির্বাচন, না হয় নির্বাচন হবে না: এ টি এম মাসুম Nov 14, 2025
img
ভোলার ভেদুরিয়া সার কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনে ৩ উপদেষ্টা Nov 14, 2025