ভারতের বিহারে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে ত্রুটি দেখা দেয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিমান। তার জেরে তড়িঘড়ি দিল্লি ফিরে আসতে হয় তাকে।
শুক্রবার বিহারের সমস্তিপুর, ওডিশার বালেশ্বর এবং মহারাষ্ট্রের সঙ্গমনেরে জনসভা ছিল রাহুল গান্ধীর। সমস্তিপুরে সভা হওয়ার কথা ছিল সকাল সাড়ে ১০টায়। সেই মতো প্রথম বিহারের উদ্দেশেই রওনা দেন তিনি। তখনই বিপত্তি বাধে বলে জানা গেছে।
আনন্দবাজার জানায়, নিজের টুইটার হ্যান্ডলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন রাহুল গান্ধী। তাতে দুই চালককে ওই বিমানটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেখা যায়।
ভিডিওটি পোস্ট করে রাহুল লেখেন, ‘আজ পটনা যাওয়ার পথে বিমানের ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা দেয়। তাই দিল্লি ফিরে আসতে বাধ্য হই আমরা। সমস্তিপুর, বালেশ্বর এবং সঙ্গমনেরে সভা দেরিতে হবে। অসুবিধার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী আমরা।’
মার্কিন সংস্থা হকার বিচক্র্যাফ্ট সংস্থার নির্মিত এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট আট আসনের কিং এয়ার বি২০০০ বিমানে চেপে রাহুল গান্ধী নির্বাচনী প্রচারে রওনা দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে সাধারণত একটি মাত্র ইঞ্জিন বিশিষ্ট ছোট বিমান ব্যবহার করা হয় না বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান মুম্বাইয়ের বিমান বিশেষজ্ঞ প্রদীপ থাম্পি।
অবশ্য এ বছর নির্বাচনের তিনমাস আগে থেকেই বিমানের বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছিল। হাতের কাছে অন্য কিছু না পেয়েই কংগ্রেস সভাপতি ওই বিমানটিতে উঠেছিলেন বলে জল্পনা। কংগ্রেসের তরফে যদিও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। তবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থা (ডিজিসিএ)।
এটাই প্রথম নয়, এর আগেও মাঝ আকাশে বিপত্তিতে পড়েছেন রাহুল গান্ধী। গতবছর দিল্লি থেকে কর্নাটকের হুবলি যাওয়ার পথে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে মাঝ আকাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তার বিমান। সে বার কোনো ক্রমে পরিস্থিতি সামলে নেন পাইলট। অল্পের জন্য রক্ষা পান কংগ্রেস সভাপতি। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ পর্যন্ত জানিয়েছিল কংগ্রেস।
টাইমস/এসআই