কান্নাজড়িত কণ্ঠে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন টেরিজা

আগামী ৭ জুন পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। ব্রেক্সিট অর্থাৎ ব্রিটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগের ব্যাপারে তার নতুন পরিকল্পনা মন্ত্রিসভায় ও পার্লামেন্টে অনুমোদিত হবে না এটা স্পষ্ট হবার পরই তিনি এই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন।

বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে এক আবেগপূর্ণ বিবৃতিতে মে তার বিদায়ের কথা ঘোষণা করেন। কথা বলতে গিয়ে তার গলা ভেঙে আসে, চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে। তবে কনজারভেটিভ পার্টি একজন নতুন নেতা নির্বাচিত না করা পর্যন্ত তিনি অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

আবেগময় বক্তৃতায় মে বলেন, ‘২০১৬ সালের ইউপোরিয়ান ইউনিয়নের গণভোটের ফলের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান দেখানোর চেষ্টা করেছি।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে টেরিজা বলেন, ‘শিগগিরই চাকরি ছেড়ে দিচ্ছি এবং আমার জীবনে এটি বড় সম্মানের বিষয়।’

৪৬ বছর ধরে ইইউ সদস্য যুক্তরাজ্য। ইইউ ছাড়তে প্রায় তিন বছর আগে এ নিয়ে দেশটিতে গণভোট হয়। ওই সময় ব্রেক্সিটের পক্ষে ৫২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। বিপক্ষে পড়েছিল ৪৮ শতাংশ ভোট।

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করে 'সঠিক সিদ্ধান্ত' নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটেনের বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন।

যেদিন তিনি বিদায় নেবেন সেদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দু'বছর ৩২৭ দিন পুরো হবে।

টেরিজা মে বলেছেন, তিনি আশা করেন তার উত্তরসূরী যিনি হবেন তিনি ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে পারবেন।

টেরিজা মে'র ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পরিকল্পনাটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতাদের অনুমোদন পেয়েছিল। কিন্তু ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এটি পর পর তিন বার তুলেও তা পাস করাতে ব্যর্থ হন তিনি।

এরপর তিনি বিরোধীদল লেবার পার্টির সঙ্গে আলোচনা করে আরেকটি সংশোধিত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। কিন্তু এর যে তীব্র বিরূপ সমালোচনা হয় তাতে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ও পার্লামেন্ট - কোথাও এটা পাস করানো যাবে না। এরপরই টেরিজা মে'কে অবিলম্বে পদত্যাগের জন্য দল চাপ দিতে থাকে।

অবশেষে শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করলেন।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ