সৌদির এক রাজকুমারীর বিরুদ্ধে এক কর্মীকে নির্যাতন ও অপহরণ চেষ্টার মামলায় ফ্রান্সে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত রাজকুমারীর নাম হাসা বিনতে সালমান। তিনি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের বোন। খবর পার্সটুডের।
প্যারিসে রাজকুমারীর বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের মিস্ত্রি আশরাফ ইদকে মারধর ও অপহরণের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হাসা’র অনুপস্থিতিতেই এ বিচারকাজ শুরু হলো।
আশরাফ ইদ বলেছেন, হাসা বিনতে সালমানের নির্দেশে তার দেহরক্ষী তাকে মারধর করেন এবং অপহরণের চেষ্টা চালান।
ওই কর্মী আরো অভিযোগ করেন, তাকে নির্মমভাবে বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং রাজকুমারীর পায়ের পাতায় চুম্বন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
ওই কর্মীর বরাত দিয়ে ফ্রান্সের লা পয়েন্ট নামের এক ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজকুমারী চিৎকার দিয়ে বলেছিলেন, ‘ওকে মেরে ফেলো। এটা একটা কুকুর। ওর বাঁচার কোনো অধিকার নেই।’
তবে রাজকুমারী তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনার পর রাজকন্যা ফ্রান্স ত্যাগ করেন এবং আদালতে হাজির হননি।
ওই ঘটনায় রাজকুমারীর দেহরক্ষী ওই কর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছেন। একই ঘটনায় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে রাজকুমারীর বিরুদ্ধে ফ্রান্স গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এ কারণেই বাদশার মেয়ে আদালতে উপস্থিত হবেন না বলে তার আইনজীবী জানিয়েছে।
তদন্তকারীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজকন্যাকে প্রশ্ন করার সুযোগ চেয়েছিলেন, তবে সৌদি রাজপরিবার তাতে রাজি হয়নি।
টাইমস/এসআই