ইরাকের কারবালায় আশুরার মিছিলে পদদলিত হয়ে নিহত-৩১

ইরাকের কারবালা শহরে আশুরার তাজিয়া মিছিলে পদদলিত হয়ে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক ব্যক্তি।  নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। মঙ্গলবার ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম মিডল ইস্ট আই।

মুসলিম শিয়া সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই অনুষ্ঠানে ইরাকের কারবালা প্রদেশে প্রতিবছর দিনটি বেশ আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন করা হয়। কারবালা ইরাকের রাজধানী বাগদাদ শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফ আল-বদর জানান, হতাহতের এ সংখ্যা চূড়ান্ত নয়, সেখানে আরও অনেক মানুষ নিহত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত ওই মিছিলে নিহত হওয়ার খবর ইরাকে সম্প্রতি সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। কালো পোশাক পরিহিত মিছিলগুলো কারবালায় হোসেনের স্বর্ণ-গম্বুজ খচিত মাজারের দিকে যাচ্ছিল। লাল কাপড়ে লেখা ‌‘ইমাম হোসেন’ ও মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের হাতে কালো পতাকা ছিল। এসময় মিছিলে তারা জোরে জোরে কাঁদতে কাঁদতে কারবালার দিকে যাচ্ছিল।

প্রসঙ্গত, প্রতিবছর ইরাকের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ কারবালায় সমবেত হন। এর ফলে কারবালায় ইমাম হোসেনের মাজার এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। কারবালা পরিণত হয়েছে শোক আর মাতমের শহরে। শোকের মিছিল ও সমাবেশে পুরুষদের পাশাপাশি ছিলেন নারী ও শিশুরাও।

১৪০০ বছর আগের আজকের দিনে ইরাকের কারবালায় বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন ও তার ৭২ জন সঙ্গী সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। অন্যায়ের কাছে মাথানত না করার কারণেই সেদিন ইমাম হোসেন পাপিষ্ঠ ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। এ কারণে ১০ মহররম বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি বেদনাবিধুর দিন।

 

টাইমস/এমএস 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রাজশাহীতে গভীর নলকূপের তথ্য চেয়েছে প্রশাসন Dec 14, 2025
img
লিথুয়ানিয়ার বাংলাদেশি প্রবাসীদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময় Dec 14, 2025
img
রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ Dec 14, 2025
img
হাদির হামলাকারীরা পালায়নি: জুমা Dec 14, 2025
img
ওসমান হাদির ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ২ Dec 14, 2025
img
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব Dec 14, 2025
img
ইতিহাসকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না: ঢাবি উপাচার্য Dec 14, 2025
img
মেসির সঙ্গে ছবি পোস্ট করে তীব্র কটাক্ষের মুখে শুভশ্রী Dec 14, 2025
লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ Dec 14, 2025
প্রত্যাবর্তনের ম্যাচেই ইতিহাস, রুনিকে ছাড়িয়ে সালাহ Dec 14, 2025
মানুষকে যেভাবে খুশি রাখবেন | ইসলামিক টিপস Dec 14, 2025
হাদি'র বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা বললেন ডাঃ আব্দুল আহাদ Dec 14, 2025
২৭ ডিসেম্বর অবসর প্রধান বিচারপতির, বিদায়ী বক্তব্য আজ Dec 14, 2025
জাতীয় পার্টিকে নিয়ে মুখ খুললেন রাশেদ খান! Dec 14, 2025
img
নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা চ্যালেঞ্জ: ইসি সানাউল্লাহ Dec 14, 2025
নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন হাদি: ডা আব্দুল আহাদ Dec 14, 2025
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার হত্যার হুমকি, রাকসু জিএস যা বললেন Dec 14, 2025
হাদি'র বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা বললেন মঞ্চ২৪ এর আহবায়ক Dec 14, 2025
img
দিল্লির দাসত্ব থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে হবে: সাদিক কায়েম Dec 14, 2025
img
অপারেশনের পরেও স্প্রিন্টারের কিছু অংশ মস্তিষ্কে থেকে গেছে : ডা. আব্দুল আহাদ Dec 14, 2025