অক্টোবর ২০১১ থেকে নভেম্বর ২০১৭ সময়ে পরিচালিত গবেষণার ফলাফল ভারতের ‘জার্নাল অফ ফ্যামিলি মেডিসিন অ্যান্ড প্রিমিয়ার কেয়ার’ এর ২০১৮ সালের ‘জুলাই-আগস্ট’ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
গবেষণায় বিশ্বব্যাপী ইংরেজী সংবাদপত্রগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে তা থেকে সেলফির কারণে মৃত্যু বা দুর্ঘটনার সংবাদগুলো সংগ্রহ করা হয়। অতঃপর ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে ওই সংবাদগুলোর পর্যালোচনা করা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যেখানে ২০১১ সালে সেলফির কারণে মৃতের সংখ্যা ছিল মাত্র দুজন, সেখানে ২০১৬ সালে তা ৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে ২০১৭ সালে এ সংখ্যা কিছুটা কমে ৯৩ এ নেমে এসেছিল।
গবেষণায় বলা হয়, মৃতদের ৭২ শতাংশেরও বেশি ছিল পুরুষ এবং সেলফি তুলতে গিয়ে মারা যাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল ডুবে যাওয়া।
গবেষণার সাথে সংশ্লিষ্ট এক গবেষক বলেন, যদিও আমাদের গবেষণায় আজ পর্যন্ত সেলফির কারণে সর্বাধিক মৃত্যু এবং দুর্ঘটনার তালিকা করা হয়েছে, তবে এর মূল উদ্দেশ্য সবাইকে সতর্ক করা।
গবেষকরা জল, পাহাড়ের চূড়া এবং উচ্চ ভবনসহ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলসমূহকে ‘নন-সেলফি জোন’ হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।
এদিকে ইউএসএ টুডে নেটওয়ার্কে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০১৫ সালে হাঙ্গরের আক্রমণের চেয়েও বেশি লোক সেলফি তুলতে গিয়ে মারা গেছেন।