আদা চায়ে যতো গুণ

আদার গুণাগুণ কারও অজানা নয়। এতে রয়েছে ভিটামিন ‘সি’, ম্যাগনেসিয়ামসহ বিভিন্ন খনিজ উপাদান। এছাড়া আদার মূল ও আদা চা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এক কাপ আদা চা আপনাকে ঠান্ডাজনিত অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে।

অনেকেরই আদার ঘ্রাণ নিতে সমস্যা হয়। তারা আদা চায়ের সাথে মেন্থল, মধু বা লেবু মেশাতে পারেন। এতে ঘ্রাণ দূর করে চাকে আরো সুস্বাদু করবে।

আদা চায়ের কিছু স্বাস্থ্যকর গুণ-

১. বিরক্তি দূর করতে: অনেকেরই দূরবর্তী ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিরক্তি, বমিভাবসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তারা বাস বা ট্রেনে উঠার আগে এক কাপ আদা চা পান করতে পারেন । আদা চা মনকে রাখবে সতেজ। এছাড়া বাড়ি বা কর্মক্ষেত্রেও আপনার বিরক্তিবোধ দূর করে এই চা।

২. পাকস্থলির কার্যকারিতা বুদ্ধি: আদা খাদ্য সজম ও শোষণ করতে খুবই উপকারী। অতিরিক্ত খাওয়ার পর এক আদা চা পাকস্থলির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে।

৩. প্রদাহ কমাতে: আদায় আছে প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য। পেশী ও গ্রন্থি সমস্যা প্রশমনে আদা ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এজন্য আদাকে বাড়ির আদর্শ ওষুধ বলা হয়। গ্রন্থি থেকে প্রদাহ বা ক্ষত দূর করতে আদা চা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

৪. শ্বাস-প্রশ্বাস সম্বন্ধীয় সমস্যা দূর করতে: আদা চা ঠান্ডাজনিত উপসর্গ দূর করতে সাহার্য করে। পরিবেশেগত অ্যালার্জির সাথে জড়িত শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত উপসর্গ দূর করতেও আদা চা কাজ করে।

৫. রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে: আদা চায়ে বিদ্যমান ভিটামিন, খনিজ ও অ্যামিনো এসিড রক্ত সঞ্চালন পুনরুদ্ধার ও বৃদ্ধি করে। এটি কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা উপশম করতে সহায়তা করে। এছাড়া আদা মানবদেহের ধমনী থেকে চর্বি কমিয়ে হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।

৬. মাসিকের অস্বস্তি দূর করে: সকল নারীদেরকেই মাসিক সমস্যায় ভোগতে হয়। একটি গামছা বা তোয়ালেতে গরম আদা চা দিয়ে ভিজিয়ে নিন, তারপর সেটা তলপেটে ব্যবহার করুন। এটা আপনার ব্যথা কমাবে এবং পেশীকে আরামদায়ক করবে। একই সাথে, মধু দিয়ে এক কাপ আদা চা পান করুন।

৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: আদাতে রয়েছে উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৮. চাপ কমায়: আদা চায়ে আছে শক্তিশালী সুবাস ও রোগ নিরাময় বৈশিষ্ট্য যা আপনাকে অতিরিক্ত চাপ ও উত্তেজনা কমাতে সাহার্য করবে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
স্বর্ণের ভরিতে বাড়ল ১৫৭৫ টাকা, আজ থেকে বিক্রি হবে নতুন দামে Dec 02, 2025
img
শান্তি আলোচনায় ভূখণ্ড ইস্যু সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ: জেলেনস্কি Dec 02, 2025
img
মধ্যপ্রাচ্যে ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ চান পোপ Dec 02, 2025
img
১ কোটি টাকা লাগলেও মুশফিককে কিনত রাজশাহী Dec 02, 2025
img
নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বিএনপির Dec 02, 2025
img
'মা দুটো পথ দেখিয়েছিলেন - জনপ্রিয়তা ও প্রিয়জন' Dec 02, 2025
img
এইচআইভি মোকাবিলায় ৩ দেশে প্রথমবার একযোগে টিকাদান শুরু Dec 02, 2025
img
মেঘাচ্ছন্ন ঢাকার আকাশ, শুষ্ক থাকতে পারে আজকের আবহাওয়া Dec 02, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন মাদার অব ডেমোক্রেসি ও আপসহীন নেতৃত্বের প্রতীক : ব্যারিস্টার মামুন Dec 02, 2025
img
নেতানিয়াহুকে আহমেদ আল-শারার সঙ্গে দৃঢ় সংলাপ বজায় রাখার তাগিদ ট্রাম্পের Dec 02, 2025
img
উচ্চ ভিত্তিমূল্যে আইপিএল মিনি অকশনে সাকিব-মুস্তাফিজ Dec 02, 2025
img
বাংলাদেশের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে অবগত আজারবাইজান Dec 02, 2025
img
এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আজ বিকেলে Dec 02, 2025
img
ইউরোপের দলের বিপক্ষে প্রথমবার খেলার অপেক্ষায় বাংলাদেশ Dec 02, 2025
img
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আহ্বান ট্রাম্পের Dec 02, 2025
img
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা, শীর্ষে দিল্লি Dec 02, 2025
img
ভারতের অনুমতি পর ভুটানের পথে ট্রানশিপমেন্ট Dec 02, 2025
img
গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে রায় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে: ডা. মো. আবু নাছের Dec 02, 2025
img
টিভিতে আজকের সকল খেলা Dec 02, 2025
img
ইমরান খানের বিষয়ে ‘সত্য লুকানো হচ্ছে’, অভিযোগ পরিবারের Dec 02, 2025