অনেকেরই আদার ঘ্রাণ নিতে সমস্যা হয়। তারা আদা চায়ের সাথে মেন্থল, মধু বা লেবু মেশাতে পারেন। এতে ঘ্রাণ দূর করে চাকে আরো সুস্বাদু করবে।
আদা চায়ের কিছু স্বাস্থ্যকর গুণ-
১. বিরক্তি দূর করতে: অনেকেরই দূরবর্তী ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিরক্তি, বমিভাবসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তারা বাস বা ট্রেনে উঠার আগে এক কাপ আদা চা পান করতে পারেন । আদা চা মনকে রাখবে সতেজ। এছাড়া বাড়ি বা কর্মক্ষেত্রেও আপনার বিরক্তিবোধ দূর করে এই চা।
২. পাকস্থলির কার্যকারিতা বুদ্ধি: আদা খাদ্য সজম ও শোষণ করতে খুবই উপকারী। অতিরিক্ত খাওয়ার পর এক আদা চা পাকস্থলির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে।
৩. প্রদাহ কমাতে: আদায় আছে প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য। পেশী ও গ্রন্থি সমস্যা প্রশমনে আদা ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এজন্য আদাকে বাড়ির আদর্শ ওষুধ বলা হয়। গ্রন্থি থেকে প্রদাহ বা ক্ষত দূর করতে আদা চা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৪. শ্বাস-প্রশ্বাস সম্বন্ধীয় সমস্যা দূর করতে: আদা চা ঠান্ডাজনিত উপসর্গ দূর করতে সাহার্য করে। পরিবেশেগত অ্যালার্জির সাথে জড়িত শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত উপসর্গ দূর করতেও আদা চা কাজ করে।
৫. রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে: আদা চায়ে বিদ্যমান ভিটামিন, খনিজ ও অ্যামিনো এসিড রক্ত সঞ্চালন পুনরুদ্ধার ও বৃদ্ধি করে। এটি কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা উপশম করতে সহায়তা করে। এছাড়া আদা মানবদেহের ধমনী থেকে চর্বি কমিয়ে হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।
৬. মাসিকের অস্বস্তি দূর করে: সকল নারীদেরকেই মাসিক সমস্যায় ভোগতে হয়। একটি গামছা বা তোয়ালেতে গরম আদা চা দিয়ে ভিজিয়ে নিন, তারপর সেটা তলপেটে ব্যবহার করুন। এটা আপনার ব্যথা কমাবে এবং পেশীকে আরামদায়ক করবে। একই সাথে, মধু দিয়ে এক কাপ আদা চা পান করুন।
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: আদাতে রয়েছে উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৮. চাপ কমায়: আদা চায়ে আছে শক্তিশালী সুবাস ও রোগ নিরাময় বৈশিষ্ট্য যা আপনাকে অতিরিক্ত চাপ ও উত্তেজনা কমাতে সাহার্য করবে।