আবরার হত্যা: প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন ইফতি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ইফতি মোশাররফ সকাল।

রিমান্ডে থাকা ইফতি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে ঢাকার হাকিম আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ।

দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউসন বিভাগের কর্মকর্তা উপকমিশনার জাফর হোসেন।

আসামি ইফতি বুয়েটের বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ছিলেন।  আবরার হত্যার ঘটনায় অভিযোগ উঠার পর তাকে স্থায়ীভাবে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

উপকমিশনার জাফর হোসেন বলেন, ‘ইফতি মোশাররফ সকাল আদালতে বিচারকের খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।’

জবানবন্দিতে এই আসামি কী বলেছেন- জানতে চাইলে জাফর বলেন, ‘কারও নাম বলেছেন কি না, নিজেকে জড়িয়েছে কি না বা নিজেকে বাইরে রেখে অন্যদের জড়িয়েছে কি না, একথা আমি বলতে পারব না। আমি জবানবন্দিটি দেখিনি। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জবানবন্দিটি এনে দিলে আমি সিলগালা করে রেখে দিয়েছি।’

জবানবন্দি নেয়ার পর বুয়েটছাত্র ইফতিকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন বিচারক।

ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

আবরারের বাবার করা হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৬ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তার মধ্যে ইফতিসহ ১২ জন এজাহারভুক্ত আসামি। মামলার আসামিদের মধ্যে সাতজন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
স্ত্রী নয়, এখনো জাহিরের বান্ধবী ভাবতে ভালো লাগে: সোনাক্ষী Dec 06, 2025
img
আমাদের মাঝে চিরস্থায়ী ৩ তালাক বায়েন হয়নি : সাবিকুন নাহার Dec 06, 2025
img
জয়ে ফিরল মোহামেডান, পয়েন্ট হারাল আবাহনী Dec 06, 2025
img
শেষ হলো বাঁধন সুনেরাহ ও শিমুদের শুটিং Dec 06, 2025
বিশ্বকাপে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা কোন গ্রুপে Dec 06, 2025
জয়ের অঙ্ক মেলাতে সংখ্যালঘু প্রার্থী বাড়াতে পারে জামায়াত | Dec 06, 2025
তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের মোকাবিলায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ট্রাম্পের Dec 06, 2025
img
বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ইতিহাস গড়লেন আন্দ্রে রাসেল Dec 06, 2025
img
২-৪টা আসনের জন্য কারোর সাথে জোট করবো না: নুর Dec 06, 2025
img
নির্বাচনের তফসিল নিয়ে সভা রোববার Dec 06, 2025
img
ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত Dec 06, 2025
img
মুসলিমরা মসজিদ বানাতেই পারে, কিন্তু নামে আপত্তি আছে: শুভেন্দু অধিকারী Dec 06, 2025
img
দেশীয় চিনির মজুত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ: শিল্প উপদেষ্টা Dec 06, 2025
img
‘সকারই আসল ফুটবল’, আমেরিকান ফুটবলের নাম বদলানোর দাবি ট্রাম্পের Dec 06, 2025
img
আমিরুলের হ্যাটট্রিক, দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-৩ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ Dec 06, 2025
img
কোনো প্রতিপক্ষই সহজ নয়, সতর্কবার্তা আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনির Dec 06, 2025
img
১০ হাজার কোটি টাকার রাস্তায় টেম্পো ছাড়া কিছুই চলে না: সড়ক উপদেষ্টা Dec 06, 2025
img

অ্যাশেজ সিরিজ

মিচেল স্টার্কের অলরাউন্ডার নৈপুণ্যে বড় জয়ের সুবাস পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া Dec 06, 2025
img
শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Dec 06, 2025
img
বাবা হারালেন কাজী শুভ Dec 06, 2025