রংপুরের তারাগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে এক প্রসূতি নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় তারাগঞ্জ উপজেলার বাছুরবান্ধা মোড়ে ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- প্রসূতি মা সাথী আক্তার (২৫), তার ভাতিজা বিপ্লব হোসেন (২০) ও অ্যাম্বুলেন্সের চালক রুবেল মিয়া (২৫)। ওই প্রসূতি মায়ের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গিলাগাঁও গ্রামে। তার স্বামীর নাম সাজু মিয়া। তবে ওই নারীর দুই দিনের নবজাতক শিশুটি অক্ষত রয়েছে।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রসূতি মা সাথী আক্তার সোমবার সকালে নিজ বাড়িতে সন্তান প্রসব করেন। এরপর ওই শিশুটি অসুস্থ হলে স্থানীয় চিকিৎসকেরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। বুধবার ভোরে ওই প্রসূতি মা সন্তানের চিকিৎসার জন্য তার ভাতিজা বিপ্লব হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সৈয়দপুরগামী ডিপজল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ওই অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ দুইজন মারা যান। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত তিনজনকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আম্বুলেন্সের আরও এক যাত্রী মারা যান।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া বলেন, সকালে ঘন কুয়াশা পড়ছিল। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার বাসটি জব্দ করা হয়েছে। বাসটির দুর্ঘটনার আগে চাকা ফেটে যাওয়ার কারণে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টাইমস/এইচইউ