আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য কিনবেন না: প্রধানমন্ত্রী

আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য না কেনার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অযথা আপনারা বেশি করে পণ্য কিনে মজুদ করবেন না। দেশে প্রচুর খাদ্য রয়েছে। ঘাটতি হবে না। আপনারা অতিরিক্ত পণ্য কিনে পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে সহায়তা করবেন না। পণ্যের দাম বৃদ্ধির মত অপরাধ আপনারা কেউ করবেন না।

শনিবার ঢাকা-১০ আসনে উপ-নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে রাজধানীর সিটি কলেজ কেন্দ্রে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। মানুষ এ ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত, ভীত। মানুষের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আপনারা পণ্যের দাম বৃদ্ধি করবেন না। যদি কোনো ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করে, তবে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। সব ব্যবসায়ী সরকারের নজরদারীতে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, খাদ্য সংকটের আশঙ্কায় মানুষ অতিরিক্ত নিত্যপণ্য ক্রয় করছে। এটা ঠিক না, কারণ দেশে প্রচুর খাদ্যপণ্য মজুদ রয়েছে। এভাবে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করলে বাজারে চাহিদা তৈরি হবে। এতে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে বিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে আগামী এক বছরের প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কেনার সক্ষমতা রয়েছে। কাজেই এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

করোনাভাইরাস বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার টেলিভিশন, বেতার ও অন্যান্য গণমাধ্যমে করোনাভাইরাস বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে প্রচারণা চালাচ্ছে। আমি আশা করি দেশবাসী সরকারের নির্দেশনা মেনে চলবেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল জনগণকে সচেতন ও সতর্কতার সঙ্গে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করার আহ্বান জানান। প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে না যাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

 

টাইমস/এসএন/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অ্যাডিলেড টেস্টে কালো আর্মব্যান্ড পড়ে মাঠে নামবে ২ দল Dec 17, 2025
img
ফিফা বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার জিতলেন লুইস এনরিকে ও সারিনা উইগম্যান Dec 17, 2025
img
আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে চলে যাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ : তারেক রহমান Dec 17, 2025
img
গোপনে বিয়ে করলেন 'খুকুমণি' দীপান্বিতা রক্ষিত Dec 17, 2025
img
চলে গেলেন বিমান বাংলাদেশের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব আলী Dec 17, 2025
img
ফিফা বর্ষসেরা গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা ও হান্নাহ হ্যাম্পটন Dec 17, 2025
img
চাঁদপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন মানিক Dec 17, 2025
img
ওসমান হাদির ঘটনায় শুটার ফয়সালের মা-বাবা গ্রেপ্তার Dec 17, 2025
img
চব্বিশের আন্দোলনকারীরাও মুক্তিযোদ্ধা: শারমীন মুরশিদ Dec 17, 2025
img
ওসমান হাদীকে হত্যাচেষ্টা : ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি Dec 17, 2025
img
পুরনো অপর্ণা দিতিপ্রিয়াকে কটাক্ষ, বাড়াবাড়ি করে ফেললেন জিতু? Dec 17, 2025
img
নাঈম শেখের দুর্দান্ত ইনিংসে মিরাজের দলের কাছে হারল শান্তরা Dec 17, 2025
img
জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপির হামলা, আহত অন্তত ১২ Dec 17, 2025
img
গ্রিনের পর পাথিরানাকেও দলে টানল কলকাতা Dec 17, 2025
img
এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারত ও পাকিস্তান Dec 17, 2025
img
ফিফা দ্য বেস্ট ফুটবলার পুরস্কার জিতলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলে Dec 17, 2025
img
ওসমান হাদিকে গুলি : মূল অভিযুক্ত ফয়সালের বাবা গ্রেপ্তার Dec 17, 2025
img
হাদির ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট এবং ভুয়া নাম্বার প্লেট উদ্ধার করেছে সিটিটিসি Dec 17, 2025
img
জামায়াতে ইসলামীতে রাজাকার ছিল ৩৬ জন: দেলাওয়ার হোসেন Dec 17, 2025
img
'রাজাকার’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির হামলা, অভিযোগ জামায়াতের Dec 17, 2025