হাতিয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ শতাধিক বাড়িঘরে পানি

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে প্রভাবে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। এছাড়া কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের নিচতলায় পানি এসেছে। এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল অন্তত পাঁচ ফুট পানির নিচে প্লাবিত হয়েছে।

বুধবার দুপুর ৩টার পর থেকে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নদীর তীরবর্তী চরঈশ্বর, নিঝুম দ্বীপ ও সোনাদিয়া ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ ভেঙে এই ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরের পর থেকে আম্ফানের প্রভাবে হাতিয়ার সুখচর, নলচিরা, চরঈশ্বর ও নিঝুম দ্বীপের নদীর তীরের বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হতে থাকে। গত বর্ষা মৌসুমে ভেঙে যাওয়া বেড়ি বাঁধ মেরামত না করায় খুব সহজে জোয়ারের পানিতে এসব এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়।

চরঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাশেদ উদ্দিন বলেন, আমার এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরে ও ভেতরে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। তবে লোকজনকে আগেই সরিয়ে নেওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 

উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন বলেন, তার ইউনিয়নে অস্বাভাবিক জোয়ারের চাপে ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। এতে অনেক বাড়িঘর ও রাস্তঘাট তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে।

সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামও তার ইউনিয়নে ‘অস্বাভাবিক জোয়ারে’ কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর দিয়েছেন।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কয়েকটি বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেলা ৩টার পর থেকে জোয়ারের পানি নামতে শুরু করে। নদী-তীরবর্তী বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে জনপ্রশাসনকে ইসির চিঠি Dec 11, 2025
img
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ভারত-শ্রীলঙ্কা ও চীনের ক্রিকেটার Dec 11, 2025
img
'ধুরন্ধর' নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হৃতিকের লম্বা পোস্ট Dec 11, 2025
img
সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিককে চোখ মেরে বিতর্কে পাক আইএসপিআর প্রধান Dec 11, 2025
img
ওবায়দুল কাদের ও মাকসুদ কামালের বিরুদ্ধে সাদিক কায়েমসহ ৩ জনের জবানবন্দি Dec 11, 2025
img
গর্তটির গভীরতা প্রায় ১৫০ ফুট, শিশুটিকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে : ফায়ার সার্ভিস Dec 11, 2025
img
পানছড়িতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করায় ৩ ভারতীয় নাগরিক আটক Dec 11, 2025
img
মোহাম্মদপুরের ঘটনায় সেই গৃহকর্মী ৬ দিন, স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে Dec 11, 2025
img
ডিজির সঙ্গে তর্ক, ক্ষমা প্রার্থনায় পদে পুর্নবহাল হলেন সেই চিকিৎসক Dec 11, 2025
img
সৌদি আরবে ঝড়-বৃষ্টি, বন্যার সতর্কবার্তা Dec 11, 2025
img
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ‘লং মার্চ টু যমুনা’ আটকে দিলো পুলিশ Dec 11, 2025
img

গুমের মামলা

হাসিনা-জিয়াউলের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ল Dec 11, 2025
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াই নতুন বিশ্বে অস্ট্রেলিয়ান কিশোররা Dec 11, 2025
img
৫ দিনের রিমান্ডে শওকত মাহমুদ Dec 11, 2025
ভোলা-৪ চরফ্যাশনে ইসলামী আন্দোলনের মোটরসাইকেল র‍্যালি! Dec 11, 2025
img
তফসিল ঘোষণা ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় নির্বাচন ভবন Dec 11, 2025
img
আসিফ-মাহফুজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তের দাবি Dec 11, 2025
img
১৬ মাস আত্মগোপনে থাকার পর প্রকাশ্যে এলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মাচাদো Dec 11, 2025
img
সিউলে রৌপ্য পদক জিতলো বাংলাদেশের ক্যালিব্রেটর-জেড Dec 11, 2025
img
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক নিরব এবার পা রাখলেন উদ্যোক্তার জগতে Dec 11, 2025