খুলনায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে কয়েক হাজার কাঁচা ও সেমিপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে জমির ফসল। তবে খুলনায় কোনো প্রাণহানির সংবাদ পাওয়া যায়নি।
এমতাবস্থায় ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে খুলনা মহানগরী থেকে শুরু করে জেলার কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় অর্ধলাখ মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
এদিকে কয়রা উপজেলার বেড়িবাঁধ বুধবার রাতে ভেঙে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালের জোয়ারে বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের ঘরবাড়ি এখন পানির নিচে। কয়রা উপজেলা সদরও জোয়ারের পানিতে ভাসছে। এখনও বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু। এসময় তিনি জানান, ৬টি স্থানে বাঁধ ভেঙে হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল নদীর পানিতে তলিয়ে আছে। গ্রামের পর গ্রাম লোনা পানিতে ভাসছে। দ্রুত ভাঙা বাঁধ মেরামত করা না গেলে এ লোনা পানিই দীর্ঘস্থায়ী বিপদ ডেকে আনবে।
তিনি বলেন, শতশত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত। হাজার হাজার গাছ ভেঙে গেছে, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতোই বেশি যে, হিসাব বের করতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
এদিকে দাকোপ উপজেলার বেড়িবাঁধ রক্ষা পেলেও কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।
টাইমস/এইচইউ