বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দিয়ে একের পর এক প্রতারণা করে যাচ্ছেন ফাতেমা আকতার পরী। কখনও তিনি নিজেকে পরিচয় দেন ইউএনও আবার কখনও সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে। তার টার্গেটে রয়েছে যুবক, জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা। এর বাইরে বেশ কয়েকজন নারীও তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
জানা গেছে, ফাতেমা আকতার পরী ফেইসবুকে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে যুবক, জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। পরে মোবাইলে কথা বলে সেই কল রেকর্ড দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা দাবি করেন তিনি। এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই নারী।
লক্ষীপুরের রামগঞ্জের ওই নারীর প্রতারণার বিষয়টি এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। তার বিষয়ে বৃহস্পতিবার রামগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহানের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে পরী বেগমের নানা অপকর্মের কথা। তিনি নাকি বয়স্ক ও বিধবা ভাতার কার্ড করিয়ে দেয়ার নামে নারীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরী বেগম (প্রকাশ ফাতেমা আক্তার পরী) রামগঞ্জ পৌরসভার নন্দনপুর গ্রামের ইম্মত আলী ভূঁইয়া বাড়ির আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। রাজমিস্ত্রি স্বামী আলমগীর বেশ কয়েকবার স্ত্রীর বেপরোয়া অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেও দফায় দফায় হেনস্তা হয়েছেন।
পরী বেগম জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। ইএনও অফিসে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা পুরোপুরি সত্য নয়।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, পরীর বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক মহিলা-পুরুষের কাছ থেকে প্রতরণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। খুব শিগগিরই বাকি তদন্ত শেষ করে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, ফাতেমা আক্তার পরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য সমাজসেবা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
টাইমস/জেকে