বারডেমে ট্রেইনি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি  

পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী ও চাকরি স্থায়ীকরণসহ পাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের অস্থায়ী চিকিৎসকরা। রোববার সকাল ৮টা থেকে তারা হাসপাতালের ভিতরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক বলেন, আমরা বারডেমের মহাপরিচালকসহ কর্তৃপক্ষের কাছে এসব দাবি তিন মাস আগে থেকেই করে আসছি। কিন্তু তারা আমাদের দাবির ব্যাপারে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তারপরও আমরা গত তিনমাস ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

চিকিৎসকরা আরও বলেন, আমাদেরকে যেসব পিপিই দেয়া হয়েছে সেগুলো ধুয়ে তিন থেকে চার বার করে ব্যবহার করতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের ১৫-২০ জন চিকিৎসক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অথচ বারডেম কর্তৃপক্ষ কাউকে চিকিৎসা পর্যন্ত দিচ্ছে না।

আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি, বারডেম কর্তৃপক্ষ বলছে তাদের এখন ইনকাম নেই, টাকা নেই। আমাদের পরিবারের করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে চায় না বারডেম কর্তৃপক্ষ। আমরা বিভিন্নভাবে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো- বৈষম্যমূলক আরএমও পোস্ট বাতিল করে সকল অস্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত চিকিৎসকদের (আরএমও, এমও এবং সহকারী রেজিস্ট্রার) চাকরি স্থায়ী করতে হবে, সকল চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত ও চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়ভার বারডেমকে নিতে হবে, কর্তব্যরত চিকিৎসকদের এবং তাদের পরিবারের জন্য করোনা টেস্ট এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে, রোগী ভর্তির আগেই করোনা টেস্টের মাধ্যমে কোভিড/নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য আলাদা লিখিত নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে এবং বারডেমে কর্তব্যরত থাকাকালীন কোনো চিকিৎসকের করোনায় মৃত্যু হলে এককালীন ১০ লাখ টাকা প্রণোদনা দিতে হবে।

এব্যাপারে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, যারা কর্মবিরতি পালন করছেন, তারা বারডেমে ট্রেইনি হিসেবে আছেন। তারা আমাদের স্থায়ী কর্মী নন। এখন তারা চাকরি চাচ্ছেন। কিন্তু বারডেমের একটা নিয়ম আছে। আমরা এসব ট্রেইনিদের কখনো স্থায়ী করি, আবার কখনো করি না। তাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়মই কার্যকর হবে। সবাইকে তো আমরা চাকরি দিতে পারব না। এখন তারা যদি এখানে (বারডেমে) ট্রেইনিং করতে না চায়, তারা চলে যেতে পারে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফেনীতে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যালয়ে আগুন Dec 18, 2025
img
ন্যায় বিচারের শেষ আশ্রয়স্থল সুপ্রিম কোর্ট: প্রধান বিচারপতি Dec 18, 2025
img

চিরকুটে রুমী

একদিন ভোর হবে সবাই ডাকাডাকি করবে কিন্তু আমি উঠবো না Dec 18, 2025
img
ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য জানাল ইনকিলাব মঞ্চ Dec 18, 2025
img
নির্মাতা হিসেবে সাফল্য বা ব্যর্থতার হিসাব-নিকাশ কষতে চাইনি: হৃদয় খান Dec 18, 2025
img
মেয়ের জন্মের পর কোন আশঙ্কায় ভুগছেন অভিনেত্রী রিচা? Dec 18, 2025
img
২৬ ডিসেম্বর রামগঞ্জে গাইবেন বালাম, বেলাল খান ও লিজা Dec 18, 2025
img

অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রধান বিচারপতি ছিলেন প্রাতিষ্ঠানিক সততার এক সুদক্ষ কারিগর Dec 18, 2025
img
পিএসএলের কারণে দুই দফায় বাংলাদেশে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান Dec 18, 2025
img
মোস্তাফিজের মতো বোলার বিশ্বে আর নেই : আশরাফুল Dec 18, 2025
টাইব্রেকারে ফ্লামেঙ্গোকে হারিয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ চ্যাম্পিয়ন পিএসজি Dec 18, 2025
পূর্বাচল স্টেডিয়ামের মাটির চুরির বিষয় নিয়ে যা বললেন পাইলট Dec 18, 2025
প্রাক্তন সামান্থার বিয়ের রেশ কাটতেই নাগার নতুন অধ্যায় Dec 18, 2025
img
ফুটবল নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টার পরামর্শ Dec 18, 2025
img
ধার করে নয়, রিজার্ভ নিজেদেরকেই বাড়াতে হবে: গভর্নর Dec 18, 2025
img
অমিতাভকে ব্যক্তিগত প্রশ্নের তোপে ফেললেন কার্তিক Dec 18, 2025
img

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন

বিচারিক কমিটির নিরাপত্তায় অস্ত্রসহ পুলিশ নিয়োগের নির্দেশ ইসির Dec 18, 2025
img

জুলাই হত্যাযজ্ঞ

কাদেরসহ যুবলীগ-নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৭ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা Dec 18, 2025
img
নির্বাচনী ফান্ড ও ক্যাম্পেইনের সর্বশেষ তথ্য জানালেন আসিফ মাহমুদ Dec 18, 2025
img
ঢাকায় এনসিপি নেত্রী রুমীর নিথর দেহ উদ্ধার Dec 18, 2025