করোনা টেস্টের ভুয়া সনদ দেয়ার মামলায় আসামি মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম গ্রেপ্তার হয়েছেন। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সীমান্তবর্তী ইছামতি নদী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের গোয়েন্দা শাখা।
র্যাব জানিয়েছে, সাহেদ ভারতে পলায়নের চেষ্টা করছিলেন। গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য তিনি গোফ ও চুল কেটে ফেলেছেন। চুলের রঙ পরিবর্তন করেছেন। সর্বশেষ সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য সাহেদ বোরকা পরে ইছামতি নদীতে একটি নৌকায় উঠেন। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সীমান্ত পার হওয়ার জন্য মাছ ধরার নৌকায় উঠেছিল সাহেদ। নৌকায় ওঠার পরই আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। সীমান্ত পার হতে স্থানীয় কয়েকজন দালাল তাকে সহায়তা করছিল। গ্রেপ্তারের সময় সাহেদের কাছ থেকে তিন রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
র্যাবের সূত্র আরও জানায়, এর আগে গত ১৩ জুলাই সাহেদের ফোন ট্র্যাক করে তার খোঁজে মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে তল্লাশি চালায় র্যাব ও পুলিশ। তবে সেখানে তাকে পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধোঁকা দিতেই মৌলভীবাজারে সাহেদ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পাঠিয়ে দেন। যেন ওই ফোনের লোকেশন ধরে পুলিশ মৌলভীবাজারে ব্যস্ত থাকে। আর এই সুযোগে সাহেদ সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যেতে পারেন। কিন্তু র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের তৎপরতায় সাহেদের ছদ্মবেশী প্রতারণা সফল হয়নি।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সাতক্ষীরা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করে প্রশাসন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সাহেদকে গ্রেপ্তারে ওই সতর্কতা জারি করা হয়।
প্রসঙ্গত, ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন হাসপাতালটির মালিক মোহাম্মদ সাহেদ।
৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়।
টাইমস/এসএন