স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন এক নারী। কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার পথে স্থানীয় পিকআপ চালক পারভেজের সঙ্গে প্রথমে পরিচয় এবং পরে তা প্রণয়ে পরিণত হয়। গত ১৮ জুলাই বাড়িতে ডেকে নিয়ে ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন পারভেজ। পরে তাকে রেখে পারভেজ পালিয়ে যান। এ ঘটনার পরেরদিন রাতে ওই নারী পিকআপ মালিক স্থানীয় ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিন পারভেজের বাড়িতে যান বিচার নিয়ে। তিনি ঘটনার বিস্তারিত ওই ইউপি সদস্যকে জানান। ঘটনা শুনে পারভেজের বিচার ও তার সঙ্গে বিয়ে দেয়ার আশ্বাসে ওই নারীকে মোটরসাইকেলে তুলে প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিণে গজারি বনের ভেতরে পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে যান ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিন। সেখানে ওই নারীকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেন কলিম উদ্দিন।
ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নে। এ ঘটনায় শনিবার দুইজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। ঘটনার পর দায়ের করা মামলার এজাহারে এমনই অভিযোগ করেছেন ওই নারী। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান খান।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে কলিম উদ্দিন (৪০), পিকআপ চালক পারভেজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিন ধর্ষণ শেষে তাকে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করেন এবং ঘটনাটি কাউকে জানালে তাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেন ওই ইউপি সদস্য।
পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে শনিবার দুপুরে পিকআপ চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
টাইমস/এইচইউ