নাতির ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী: দাদার সঙ্গে ভিকটিমের বিয়ে

জামালপুরে ধর্ষণের শিকার ১১ বছর বয়সী স্কুলছাত্রীকে মহির উদ্দিন নামে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই স্কুলছাত্রীকে বৃদ্ধের নাতি ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা মাতবররা নাতির দায় বৃদ্ধের ওপর চাপিয়েছে।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার আমখাওয়া ইউনিয়নের বয়ড়াপাড়া গ্রামে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানায়, ১১ বছর বয়সী পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে সুরমান আলীর বখাটে ছেলে শাহিন (১৮) ধর্ষণ করে। সুরমান আলীর বাবার নাম মহির উদ্দিন (৮৫)। বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে ইউপি সদস্য ও স্থানীয় মাতবররা সালিশ বৈঠক করেন।

সালিশে শাহিনের কুকর্মের দায় চাপিয়ে দেয়া হয় তার ৮৫ বছরের বৃদ্ধ দাদার ওপর। বৃদ্ধের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ে দেয়া হয়েছে। ৮৫ বছরের বৃদ্ধ মহির উদ্দিন ঠিকমতো কথাও বলতে পারেন না। চোখেও ঝাপসা দেখেন। তিনি সাত সন্তানের জনক।

এব্যাপারে বৃদ্ধ মহির উদ্দিন জানান, আমার ওপর মিথ্যা দোষ দিয়ে বিয়ে করিয়ে দিয়েছে গফুর মাস্টার, কুদ্দুস মাস্টার, নাদু মেম্বার (স্থানীয় মাতবর)। আসলে আমি নির্দোষ। আমার নাতির দোষ আমার ওপর দিয়েছে তারা।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক মাদ্রাসা শিক্ষক বলেন, ছেলের ঘরের নাতি দোষ করেছে। তার দায়ভার ওই বৃদ্ধের ওপর চাপিয়ে দিয়ে শিশু ছাত্রীর জীবনটাকে শেষ করে দেয়া হয়েছে।

এব্যাপারে চর আমখাওয়া ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন নাদু জানান, মুরব্বিদের নিয়ে সালিশ করা হয়েছে। সালিশে অনৈতিক কাজ করায় বৃদ্ধকে ১০ দোররা এবং শাহিনকে ১০টি দোররা মেরে শরীয়ত মতে বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বৃদ্ধই দায়ী।

চর আমখাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান আকন্দ জানান, এটা আশ্চর্য ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি এমএম মইনুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই।

 

টাইমস/এবি/এসএন

Share this news on: