বন্ধুর কাণ্ড, গ্রুপস্টাডিতে ডেকে ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা!

রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রীকে গ্রুপ স্টাডির জন্য ডেকে নিয়ে যায় ইফতেখার ফারদিন দিহান নামে তার বন্ধু। এসময় বাসায় কেউ ছিল না। এর সুবাদে পূর্বকল্পিতভাবে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে দিহান। এসময় তার আরও তিন বন্ধু তাকে সহযোগিতা করেছে বলেও জানা গেছে। তবে ধর্ষণের মামলায় একমাত্র দিহানকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাতেই আনুশকার বাবা মো. আল-আমিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এদিকে দিহানের দাবি আনুশকার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রধরেই তাকে বাসায় ডেকে নেন তিনি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিউ মার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন আনুশকার বাবা। মামলায় দিহানকেই একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার রাতেই আটক করেছি, এখন তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রাখা হয়েছে। তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রুপ স্টাডির কথা বলে কলাবাগানের ডলফিন গলির একটি বাসায় নিয়ে আনুশকাহ নূর আমিন (১৮) নামে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগে জানা যায়। পরে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে যায় সে। এর মধ্যে নির্যাতিতার মাকে ফোন করে এ তথ্য জানায়। তবে হাসপাতালে আসার আগেই ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়।

নির্যাতিতার পরিবার গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযুক্তরা। কিশোরীর মা বলেন, ‘আমার মেয়েকে নির্মমভাবে মারা হয়েছে। রক্তক্ষরণ হয়েছে, ওর হাতে দাগ আছে। আমি বিচার চাই, কেন আমার মেয়েকে এভাবে মারা হলো। আমার মেয়ের বান্ধবীর ভাই বলেছে, ওই ছেলেকে তারা চেনে। আগেও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে, ওর আচরণ ভাল না।’

পুলিশ কর্মকর্তা আবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ওই তরুণ দাবি করেছে, মেয়েটি তার পূর্বপরিচিত। বাসার সবাই রাজধানীর বাইরে থাকায় তাকে ডলফিন গলির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সুরতহাল প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রেমিট্যান্স উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি : সমাজকল্যাণমন্ত্রী Apr 18, 2024
img
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা Apr 18, 2024
img
গবেষণায় বাংলাদেশে বিক্রি হওয়া শিশুখাদ্য সেরেলাক নিয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য Apr 18, 2024
img
আ.লীগের এমপি-মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন করতে মানা Apr 18, 2024
img
আইপিএল থেকে ডাক পেয়েও যে কারণে যেতে পারেননি শরিফুল Apr 18, 2024
img
রাত পোহালেই শিল্পী সমিতির নির্বাচন, কে লড়ছেন কার বিপক্ষে Apr 18, 2024
img
লিটারে ৪ টাকা বেড়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম Apr 18, 2024
img
মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান : পররাষ্ট্রমন্ত্রী Apr 18, 2024
img
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা দেশের মানুষের জন্য কোনো কাজ করেনি: প্রধানমন্ত্রী Apr 18, 2024
img
ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা : পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি Apr 18, 2024