‘৯৯ শতাংশ ধর্ষকই মনে করে, তার শাস্তি হবে না’

‘ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার কম হওয়ায় আমাদের সমাজে ৯৯ শতাংশ ধর্ষকই মনে করে, অপরাধ করে সে পার পেয়ে যাবে। একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পর পরই সবাই ধর্ষকের ফাঁসির দাবি করে। কিন্তু ফাঁসিই একমাত্র সমাধান নয়। প্রত্যেক অপরাধীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এসব কথা বলেছেন।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর এফডিসিতে ‘দিহানদের অবক্ষয়ের জন্য অভিভাবকদের দায়’ শীর্ষক বিষয়ের ওপর এক ছায়া সংসদীয় বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

সম্প্রতি ঢাকার কলাবাগানে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গে শাহীন আনাম বলেন, আমাদের সমাজে অপরাধীকে বাঁচানোর একটা চেষ্টা চলে, যারা প্রশ্ন তুলে মেয়েটি সেখানে কেন গিয়েছিল? তাদের বলতে চাই, মেয়েটি কি সেখানে ইচ্ছা করে মরতে গিয়েছিল?

কলাবাগানের চাঞ্চল্যকর ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থী আনুশকা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচার না পাবার আশঙ্কা প্রকাশ করে শাহীন আনাম বলেন, নিপীড়নবিরোধী সামাজিক আন্দোলন জোরদার করার মাধ্যমে আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেক বাবা-মাকে খেয়াল রাখতে হবে তার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, কোন বন্ধুদের সঙ্গে মিশছে।

বিতর্ক অনুষ্ঠানের সভাপতি ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আজকাল কিছু কিশোর-কিশোরীরা আধুনিকতার নামে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। অভিভাবকদের উদাসীনতা, বাবা-মায়ের অতি আদর, নৈতিক শিক্ষার অভাব, শিথিল সামাজিক বন্ধন, মাদকের সহজলভ্যতা, তথ্য প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার, সুশাসনের ঘাটতিসহ নানা কারণে কিশোর অপরাধ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ব্যাপক বন্যার কবলে দুবাই Dec 21, 2025
img
প্রেম করছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন Dec 21, 2025
img
জানাজা শেষে ৬ শান্তিরক্ষী সেনার প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা Dec 21, 2025
img
আচমকা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত নোরা ফাতেহি Dec 21, 2025
img
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ Dec 21, 2025
img

বিবিএসের জরিপ

দেশের ৪৩ শতাংশ মানুষের নিজস্ব ফোন নেই Dec 21, 2025
img
আমি আপনাদের এলাকার জামাই, ভালোবাসা দিবেন : গিয়াস উদ্দিন তাহেরি Dec 21, 2025
img
কুয়াশার চাদরে ছেয়ে গেছে তেঁতুলিয়া, ফের কমল তাপমাত্রা Dec 21, 2025
হাদির জানাজায় এসে যা বললেন আহমাদুল্লাহ Dec 21, 2025
img
ভোট দেওয়ার জন্য সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন Dec 21, 2025
সোনাক্ষীর স্পষ্ট সিদ্ধান্তে নবদম্পতির সম্পর্কের সুস্থতা Dec 21, 2025
img
সম্পদ অর্জনে ইতিহাস গড়লেন ইলন মাস্ক, অঙ্ক ছুঁয়েছে ৭৪৯ বিলিয়ন ডলারে Dec 21, 2025
img
জেমস বন্ডকে দেখা যাবে নেটফ্লিক্সে Dec 21, 2025
img
মিরপুরে এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা Dec 21, 2025
img
বাড়ছে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড সংঘর্ষ, বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষ Dec 21, 2025
img
বিশ্বের দীর্ঘতম রাস্তা : ইউ-টার্নহীন ৩০ হাজার কিলোমিটারের বিস্ময়কর সড়ক Dec 21, 2025
img
২ ম্যাচ হাতে রেখেই অ্যাশেজ নিশ্চিত করল অস্ট্রেলিয়া Dec 21, 2025
img
মুসলিম ব্রাদারহুডের সন্ত্রাসী তালিকাভুক্তি নিয়ে ঘোষণা আসতে পারে: মার্কো রুবিও Dec 21, 2025
img
কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ Dec 21, 2025
img
পুয়ের্তো রিকোতে মার্কিন সেনা মোতায়েন জোরদার Dec 21, 2025