জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার পর ৪০ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলা হয়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে। হামলকারীদের গ্রেপ্তার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেয়ার দাবিতে গতকাল শনিবার থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কোনও কিছুতেই কর্ণপাত করছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারি ও হামলায় নেতৃত্বদানকারিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবিসহ ৬ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সামিয়া হাসান লিতু।
শিক্ষার্থীদের ৬ দফা হলো- পরিকল্পিত এ হামলার বিচার নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা দায়ের করা, স্থানীয় গেরুয়া গ্রামে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাসের হল খুলে দেয়া, হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ সকল শিক্ষার্থীকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
শিক্ষার্থীদের এসব দাবি যদি দ্রুত মেনে নেয়া না হয়, তাহলে পরবর্তি যেকোনও পরিস্থিতির জন্য জাবি প্রশাসনকে দায়ী থাকতে হবে বলেও সংবাদ সম্মেলন থেকে হুশিয়ারি দেয়া হয়।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) জেফরুল হাসান চৌধুরি সজল গণমাধ্যমকে বলেন, এখনো মামলা করা হয়নি। শনিবার রাতে আমরা মামলা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু সংশোধনী থাকায় রাতে আর মামলাটি দায়ের করা হয়নি। আজ (রোববার) সকালে ওইসব বিষয় সংশোধন করা হয়েছে। এখন সবকিছু ঠিক থাকলে সন্ধ্যার মধ্যেই মামলা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গেরুয়া এলাকার স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরদিন শনিবার তালা ভেঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
টাইমস/এসএন