যুবলীগ নেতা সম্রাট সিসিইউতে

ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আফজালুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘সম্রাটের পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে ৩ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যেখানে আমাদের কার্ডিয়াক সার্জন ও কার্ডিওলজিস্ট সার্জন রয়েছেন। যেহেতু তিনি অবজারভেশনে আছেন তাই আমরা আপাতত উনাকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়েছি। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা কথা বলতে পারব।'

ডা. আফজাল আরো বলেন, ‘সম্রাটের শারিরীক অবস্থা এখন স্ট্যাবল আছে। তবে রোগী অবজারভেশনে থাকবে। আমরা ফলোআপ রিপোর্ট আপনাদের জানাব। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে। আপাতত ইমারজেন্সি ইনফরমাল মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।’

‘১৯৯৮ সালে সম্রাটের হার্টের একটা বাল্ব রিপ্লেসমেন্ট করেছিলেন। আমরা ইতিমধ্যে পরীক্ষা করে দেখেছি ওনার বাল্বটা ভালো কাজ করছে। ওনার শারীরিক অবস্থার অন্য দিকগুলোও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। যেহেতু তিনি ব্যথার কথা বলেছেন, তাই আমরা তার ব্যথার বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখার চেষ্টা করছি- ব্যথাটা ঠিক কতটুকু মারাত্মক বা সহনশীল’- বলেন তিনি।

এর আগে বুকে ব্যথা অনুভব করায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সম্রাটকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন কারারক্ষী সুবেদার মো. মুজাহিদুল ইসলাম।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিনিধি জানান, সম্রাটকে প্রথমে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। তার সমস্যার কথা শুনে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে সিসিইউতে পাঠান। সিসিইউতে যাওয়ার পর সম্রাটকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক। সকাল আটটার দিকে সম্রাটকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নিজের নীতি অক্ষুণ্ণ রাখতেই প্রিমিয়ার এড়ান জিৎ Nov 25, 2025
img
৫ ঘণ্টা পর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে Nov 25, 2025
img
ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছাড়লেন ৭ নেতা Nov 25, 2025
img
হকিতে চিলিকে ৩-০ গোলে হারাল বাংলাদেশ Nov 25, 2025
img
হতাশার কথা খুলে বললেন জেফার রহমান Nov 25, 2025
img
অভিনয় থেকে দূরে নয়, নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে তুলিকা Nov 25, 2025
img
বিশ্বকাপের পরই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন রোনালদো! Nov 25, 2025
img
ফের মুখোমুখি ‘লড়াই’ দেব-শুভশ্রীর Nov 25, 2025
img
ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তরুণদের হত্যা করেছে হাসিনা : জোনায়েদ সাকি Nov 25, 2025
img
নিম্নমানের ‘কিট ক্যাট’ বিক্রির অভিযোগে নেসলে এমডির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা Nov 25, 2025
img
দারিদ্র্য সীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ : বিশ্বব্যাংক Nov 25, 2025
img
চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির প্রমাণ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব : রাশেদ খান Nov 25, 2025
img
বর্ডার-২ এর গানে এবার একসাথে থাকছে সনু-অরিজিত-দিলজিত Nov 25, 2025
img
ধানের শীষ হোক ঐক্যের প্রতীক: এমরান সালেহ প্রিন্স Nov 25, 2025
img
নন-ক্যাডারের ৭ কর্মকর্তাকে সুখবর দিলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় Nov 25, 2025
সব ভুলে আবার এক সানাই–মূসা: আদালত থেকে সংসারে ফেরা Nov 25, 2025
ঘণ্টাব্যাপী ফোনালাপে কী আলোচনা করলেন ট্রাম্প-শি? Nov 25, 2025
মৃত্যুর ভয় থেকে যেভাবে বাঁচবেন Nov 25, 2025
ইসির পোস্টাল অ্যাপে নিবন্ধন ৩১ হাজার ছাড়াল Nov 25, 2025
img
দ্রুত সময়ের মধ্যে কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণের আশা ফায়ার সার্ভিসের Nov 25, 2025