ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দেখা দিয়েছে। এর প্রভাবে সাগর থেকে ধেয়ে আসা পানির তোড়ে জেলার রাঙ্গাবালী, গলাচিপা ও বাউফলে বাঁধ ভেঙে বেশ কিছু গ্রাম গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এদিকে এরই মধ্যে জেলার প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন। প্রায় এক লাখ গবাদিপশুকে ইতিমধ্যে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বুধবার সকালে জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নৌকা নিয়ে মাইকিং করতে বের হন কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ইউনিটের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির দলনেতা শাহ আলম (৪০)। স্থানীয় হাফেজ প্যপদার খালে নৌকাটি ঝড়ো বাতাসে ডুবে যায়। চারজনের মধ্যে ৩ জন সাতঁরে তীরে ওঠতে পারলেও শাহ আলম নিখোঁজ রয়েছেন। শাহ আলম সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির কলাপাড়া উপজেলার সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই খালে কচুরিপানা থাকায় উদ্ধারকার্য ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মাঝের চর, চর আন্ডা, চর মোন্তাজ, চালিতাবুনিয়াসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আম্ফানের প্রভাবে জোয়ারের কারণে জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার নিম্নাঞ্চল তিন থেকে চার ফুট উচ্চতায় প্লাবিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি বেড়িবাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।
বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় সেসব এলাকার পানিবন্দি মানুষদের নিকটবর্তী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রশাসন।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান বলেন, চর মোন্তাজ ও চর আন্ডাসহ নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের ট্রলারে করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও গলাচিপার গোলখালী, বাউফলের কয়েকটি এলাকার বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি লোকালয়ে ঢুকছে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে পটুয়াখালী জেলায় ৩ লাখ ৫৪ হাজার জন মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও জেলঅতে ৮০ হাজার ১৬৭টি গবাদিপশুও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। জেলার কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
টাইমস/এইচইউ