এবার ফরিদগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণ : পাষণ্ড বাবা গ্রেপ্তার

এবার নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগে মনির হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় এঘটনা ঘটেছে।

শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণের অভিযোগ এনে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নিজের স্বামীর নামে থানায় মামলা করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার অভিযুক্ত বাবা মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকতো মনির। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে মনির তার দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। মনিরের স্ত্রী চাকরির প্রয়োজনে ঢাকাতেই থেকে যান।

পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে গভীর রাতে ঘুমন্ত মেয়েকে ধর্ষণ করে বাবা মনির হোসেন। এসময় কাউকে কিছু বললে মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় পাষণ্ড মনির।

পরে ২৫ সেপ্টেম্বর মায়ের কাছে ঢাকায় চলে যায় ওই কিশোরী। এরপর ওই কিশোরী তার মায়ের কাছে সবকিছু খুলে বলে। এসময় মেয়েকে নিয়ে আবার নিজ এলাকায় ফিরে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের মামলা করেন ভিকটিম কিশোরীর মা।

ভিকটিমের মা বলেন, আমার স্বামী মেয়েকে বিয়ে না দেয়ার জন্য বারবার আমাকে হুমকি দিতো। আমি কিছু বুঝতে পারিনি। এতোদিন মেয়েও তার বাবার ভয়ে কাউকে কিছু বলতে সাহস পায়নি। আমি ঢাকায় থেকে চাকরি করি। এই সুযোগে পাষণ্ড মনির মেয়েটার জীবন শেষ করে দিয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মনির চিহ্নিত মাদকসেবী। প্রায়ই তার নামে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। নিজের মেয়েকেও কুলাঙ্গার মনির রেহায় দেয়নি। স্থানীয়রা মনির হোসেনের ফাঁসির দাবি করেন।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রকিব গণমাধ্যমকে বলেন, ভিকটিমের মায়ের অভিযোগ এবং সার্বিক বিষয় যাচাই-বাছাই করে মনির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছি। সোমবার ভোরে মনিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি।

টাইমস/এসএন