শিক্ষা ও অর্থনীতিতে পিছিয়ে থাকা মায়েদের গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেশি

শিক্ষিত ও অর্থনৈতিক ভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা মায়েদের নবজাতক এবং হাই স্কুল পাশ করতে না পারা ও অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মায়েদের গর্ভে জন্মগ্রহণকারী নবজাতকের স্বাস্থ্যের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। শিক্ষিত এবং অর্থনৈতিক ভাবে অগ্রসর মায়েদের নবজাতকেরাই তুলনামূলক ভাবে সুস্থ ও পরিমিত ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে। নতুন গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

পূর্ণ সময়ে এবং পরিমিত ওজনসহ জন্মগ্রহণ করা শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি পরবর্তী জীবনেও তাদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। এ বিষয়ে ড. হিতেশ দেশমুক বলেন, ‘যে সব শিশু অপরিপক্ব অবস্থায় জন্মায় তাদের হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থাকে। এমনকি পরবর্তীকালেও তাদের এটি বয়ে বেড়াতে হতে পারে।’

গবেষক এমিলি রসচার এবং ডেভিড এনরিখ রেঞ্জেল ১৯৮৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে জন্মানো শিশুদের স্বাস্থ্যের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন। প্রায় ২.২ কোটি শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে পরিচালিত এই গবেষণার ফলাফল ‘সোশ্যাল সাইন্স এন্ড মেডিসিন- পপুলেশন জার্নাল’ এ প্রকাশিত হয়।

এতে দেখা যায়, শিক্ষিত ও স্বল্প শিক্ষিত নারীদের গর্ভে জন্ম লাভ করা শিশুদের স্বাস্থ্যের মধ্যে যথেষ্ট তফাৎ রয়েছে এবং গত কয়েক দশক ধরে এই পার্থক্য বেড়ে চলছে। একই ধরণের পার্থক্য ধনী ও অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা নারীদের গর্ভে জন্মগ্রহণ করা সন্তানদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

এ বিষয়ে এমিলি রসচার বলেন, ‘গবেষণায় আমরা দেখতে পেয়েছি শিক্ষা ও অর্থনীতিতে পিছিয়ে থাকা নারীদের গর্ভে জন্মলাভ করা সন্তানদের স্বাস্থ্যেও অসাম্য রয়েছে।’

তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে

 

টাইমস/এনজে/এসএন

Share this news on: