ঘরোয়া উপায়ে সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডার উপশম

প্রতিদিন কমছে তাপমাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে বেড়েছে সর্দি ও ঠাণ্ডা-কাশি। সাধারণ সর্দি ও ঠাণ্ডা জ্বরের তেমন কোনো চিকিৎসাও নেই। এটি আপনাআপনি আসে, আবার দু-একদিন পর সেরে যায়।

তবে সেরে উঠতে যে সময় লাগে তা ক্ষেত্র বিশেষে কম বেশি হতে পারে। আসুন এমন কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিই, যা আমাদের দ্রুত ঠাণ্ডা ও সর্দি জ্বর থেকে সেরে উঠতে সহায়তা করবে।

উষ্ণ তরল পান করুন

শীতে এমনিতেই উষ্ণ তরল ভাল লাগে। এটি ঠাণ্ডা বা সর্দি উপশমেও বেশ উপকারী। আপনি এক্ষেত্রে সুপ খেতে পারেন। এছাড়া গরম পানি, চা, হলুদ দুধ, দুধ ও মধু, গরম পানিতে লেবু এবং আদা চা পান করতে পারেন। তবে ক্যাফেইন গ্রহণের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় পানের ফলে দেহে পানি স্বল্পতা দেখা দিতে পারে।

আর্দ্র থাকুন

শীতের শুষ্কতায় আর্দ্র থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ, একারণে বারবার তরল পান করতে হবে। পর্যাপ্ত তরল পান করলে এটি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা দূর করবে এবং পানি স্বল্পতা রোধ করবে। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করুন এবং উষ্ণ পানীয় চয়ন করুন।

বিশ্রাম নিন

আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঠাণ্ডা ও সর্দির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। তবে এজন্য আমদের একই সাথে প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রাম। যথাযথ বিশ্রাম দেওয়া আপনাকে দ্রুত স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে। ঘুমের চক্র ও পরিমাণ ঠিক রাখুন এবং চাপমুক্ত থাকুন। এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করবে।

মধু পান করুন

ঠাণ্ডা এবং গলা ব্যথা উপশমের একটি প্রাচীন উপায় হলো মধু খাওয়া। এক চামচ খাঁটি মধু আপনার ভাল ঘুম ভাল করতেও সহায়তা করবে। এক টেবিল চামচ মধুতে কয়েক ফোঁটা আদার রস যোগ করে তা পান করলে কাশি এবং গলার ব্যথা কমে যায়। মধুতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করুন

গরম পানিতে অল্প লবণ মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি বা গার্গেল করুন। এটি খুসখুসে কাশ ও কফ জমাট বাঁধা রোধ করবে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা নিরসন করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এটি আপনাকে নাক বন্ধ হওয়া থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই গার্গেল করুন।

নাক দিয়ে গরম বাষ্প গ্রহণ করুন

বন্ধ নাকের সমস্যা দূর করতে নাক দিয়ে ভাপ গ্রহণ করা অত্যন্ত কার্যকর। সাধারণ সর্দিতে কার্যকর ফলাফলের জন্য দিনে দুইবার নাক দিয়ে ভাপ বা বাষ্প নিতে পারেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান

শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আপনাকে সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি অসুস্থতার সময়কাল হ্রাস করতেও সহায়তা করবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন সি এবং জিংকের মতো পরিপূরক সর্দি ও ঠাণ্ডার অসুস্থতার সময়কাল হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

 

টাইমস/এনজে/এসএন

Share this news on: