‘শীতের কাপড় না পড়ে বাইরে গেলে ঠান্ডা লাগবে’ এমন কথা কম বেশি আমরা অনেকেই শুনেছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ঠাণ্ডা জ্বর বা সর্দির সাথে সেই অর্থে শীতের কাপড়ের তেমন কোনো সম্পর্কই নেই।
ঠাণ্ডা জ্বর বা সর্দি জাতীয় অসূখগুলি ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়, তাই যত ভাল শীতের কাপড় পড়েন না কেন, তা আপনাকে এদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে না।
স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের মতে, শীতকালে ভাইরাস দ্রুত ছড়ায়। বিশেষত, ঠাণ্ডা জ্বরের জন্য দায়ী রাইনো ভাইরাসের ক্ষেত্রে এ কথাটি অত্যন্ত সত্যি। কোভিড-১৯ রোগের জন্য দায়ী সার্স কোভ-২ ভাইরাসটিও কি ঠাণ্ডায় তুলনামূলক ভাবে বেশি ছড়াবে কিনা তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে ইতিমধ্যে শীতকালে বিশ্বজুড়ে আবারও করোনা মাহামারীর প্রভাব জোরাল হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন অপেক্ষাকৃত কম তাপমাত্রা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার জন্য সহায়ক। এ সময় বিশেষত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বহিরাবরণ পরিবর্তিত হয় যা একে আরো বেশি ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম করে তোলে। এছাড়া বাতাসে আদ্রতা কম থাকলে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দীর্ঘ সময় ধরে সংক্রমণের ক্ষমতা ধরে রাখতেও সক্ষম হয়।
তাপমাত্রা কমে গেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও এর দ্বারা প্রভাবিত হয়। বিশেষ করে আমদের শ্বাস নালীর প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা হ্রাস পায়। ফলে ভাইরাস সহজে আমাদের দেহে প্রবেশ করতে পারে। একারণে মাফলার জাতীয় কিছু দ্বারা নাক ও মুখ ঢেকে রাখলে ভাল উপকার পাওয়া যেতে পরে।
এছাড়াও শীতের সময় অনেকেই রোদে বেরোতে পারেন না, যার ফলে দেহে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যা আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়।
এছাড়াও ঠাণ্ডা পরিবেশ আমাদের চোখ, নাক এবং গলার মিউকাস শুকিয়ে ফেলে। এই মিউকাস মূলত রোগ জীবাণু প্রবেশে বাঁধা সৃষ্টি করে থাকে।
কি করবেন?
তথ্যসূত্র: সিএনএন।
টাইমস/এনজে