জেনারেল জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবি : শাহবাগ অবরোধ

জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সেনা ও বিমান বাহিনীর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত, চাকরিচ্যুত সদস্য ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা রাজধানীর শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। ছয়টি দাবিতে ‘১৯৭৭ সালে খুনি জিয়ার গুম ষড়যন্ত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারবর্গ’র ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

রবিবার দুপুর দেড়টায় শাহবাগে সমবেত হন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। এরপর শাহবাগ অবরোধ করে সড়কে অবস্থান করেন তারা। এর আগে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা। পরে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবস্থান করেন তারা। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।

এদিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে ছয়টি দাবি তুলে ধরেন বিক্ষুব্ধরা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্য যারা জিয়াউর রহমানের সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের নির্দোষ ঘোষণা করা।

দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে,- জেনারেল জিয়ার শাসনামলে যারা ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে স্ব স্ব পদে সর্বোচ্চ র‌্যাংকে পদোন্নতি দেখিয়ে বর্তমান স্কেলে বেতন-ভাতা ও পেনশনসহ সরকারি সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা; যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেয়া হয়েছে তাদের শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করা এবং কবরস্থান চিহ্নিত করে কবরস্থানে নামসহ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা।

এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেনা ও বিমানবাহীর সদস্যদের পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যে তাদের পোষ্যদের যোগ্যতা অনুসারে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রদান করা; ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর যারা জিয়াউর রহমানের সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্য যারা অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করা; অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত করার অপরাধে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করা।

এ বিষয়ে সংগঠনের সমন্বয়ক মো. কামরুজ্জামান মিঞা লেলিন বলেন, জেনারেল জিয়া বিচারের নামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিলেন। শুধু ১৯৭৭ সালের নভেম্বর মাসেই নয়, ডিসেম্বরে বিজয়ের মাসেও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসির নামে হত্যা করেছে। এটি জাতির জন্য কলঙ্কজনক ঘটনা। আমরা কমিশন গঠন করে জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানাই।


Share this news on: