ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে গত রোববার আনা বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব ‘অসাংবিধানিক’ বলে খারিজ করে দেন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। ইমরান খানের পরামর্শ মেনে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। অন্যদিকে ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যান বিরোধীরা।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় মঙ্গলবার পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আজ দেশটির আদালত এ ব্যাপারে আদেশ দিতে পারে।

বিবিসির করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার শুনানি শেষে মামলার রায় স্থগিত রাখে আদালত।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে রোববার আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব ‘অসাংবিধানিক’ বলে খারিজ করে দেন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। এরপর ইমরান খানের পরামর্শ মেনে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। অন্যদিকে ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যান বিরোধীরা। এর জেরে সৃষ্ট সংকটের প্রেক্ষাপটে স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমোটো) নোটিশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।

সোমবার এর ওপর শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চে। পরে আজ স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত তা মুলতবি করে সর্বোচ্চ আদালত।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশ শাসনে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে গত ৮ মার্চ অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটির জন্য অধিবেশন ডাকতে স্পিকার আসাদ কায়সারের প্রতি লিখিত আবেদন জানান তারা।

পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, 'লিখিত আবেদন জমার ১৪ দিনের মধ্যে স্পিকারকে আলোচনার জন্য অধিবেশন ডাকতে হবে। সে অনুযায়ী ২২ মার্চের মধ্যে অধিবেশন আয়োজন করার কথা ছিল। তবে ২২ মার্চ থেকে জাতীয় পরিষদে ওআইসির দুই দিনব্যাপী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হওয়ায় তা আর হয়নি। এর পরই অধিবেশনের তারিখ পেছায়'।

অনাস্থা প্রস্তাবে টিকে থাকতে হলে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ইমরান খানকে অন্তত ১৭২ সদস্যের সমর্থন পেতে হতো। এরই মধ্যে তিন জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ) এবং বালুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) বিরোধী শিবিরে যোগ দেয়ার ইঙ্গিত দেয়ায় ব্যাপারটি অন্যদিকে মোড় নেয়।

Share this news on: