বিদায়ী বছর ২০১৮ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ১ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার ৫৪১ কোটি টাকারও বেশি।
২০১৭ সালে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমান ছিল ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বরে প্রবাসীরা ১২০ কোটি ২ লাখ ডলার রেমেট্যান্স পাঠায় যা ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।
অবৈধ মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রন করে হুন্ডি ব্যাবসা প্রতিরোধ করার কারণে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর এর মতে, টাকার পরিবর্তে ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবাসীরা রেমিট্যান্সপাঠাতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। অন্যদিকে পণ্য আমদানি বাড়ায় ডলারের সংকট কাটাতে ব্যাংকগুলো নিজেদের প্রয়োজনে রেমিট্যান্স আনতে বেশি উৎসাহী হচ্ছে।
এ দিকে রফতানি আয় ও প্রবাসী আয় বাড়ায় প্রভাব পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার (তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা) ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩২ দশমিক ১২২ বিলিয়ন ডলারে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জিডিপিতে ১২ শতাংশ অবদান রাখছে প্রবাসীদের পাঠানো এই বৈদেশিক মুদ্রা।
টাইমস/এএইচ/ কেআরএস