করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিনিয়ত নিজের গঠন বদলে ফেলছে। এবার ভাইরাসটি এর উৎপত্তিস্থল চীনের উহানে রূপ বদলে ফের ফিরে আসছে। আগে দু’সপ্তাহের মধ্যে শরীরে করোনার লক্ষণ প্রকাশ পেলেও এখন লক্ষণ প্রকাশ পেতে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগছে।
চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জিলিন ও হেইলং জিয়াংয়ে বুধবার নতুন করে দু’জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বলা হচ্ছে- রাশিয়া থেকে সংক্রমিত হয়ে আসা রোগীদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাদের সংক্রমণের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা গেছে। জিনেটিক সিকোয়েন্সিংয়ে উত্তর-পূর্বের রোগীদের সংক্রমণ এবং রাশিয়া ফেরত রোগীদের সংক্রমণে মিল পাওয়া গেছে।
উহানে করোনার যে উপসর্গ দেখা দিয়েছিল তা থেকে জিলিন ও হেইলং জিয়াংয়ের করোনার উপসর্গ আলাদা। নতুন করে ছড়িয়েপড়া এ করোনাভাইরাসের গঠনও ভিন্ন বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এতে চীনা কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। খবর রয়টার্স ও ডেইলি মেইল
চীনের জটিল রোগ বিশেষজ্ঞ কিউ হাইবো বলেছেন, নতুন করে যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের দেহে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে সময় লাগছে দুই সপ্তাহের বেশি। অথচ আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে অন্যরা সংক্রামিত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, কারও দেহে করোনা সংক্রমণ হয়েছে বুঝতে দেরি হলে তার পরিবারের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
মহামারী বিশেষজ্ঞ হাইবো আরও বলেন, চিকিৎসকরা লক্ষ্য করেছেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গুচ্ছাকারে সংক্রমিত রোগীদের বেশির ভাগ ফুসফুসই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে উহানের রোগীদের হৃৎপিণ্ড, কিডনি ও অন্ত্রসহ একাধিক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, অজানা কোনো উপায়ে ভাইরাসটি পরিবর্তিত হচ্ছে। যা এটিকে দূর করার প্রচেষ্টা আরও জটিল করে তুলছে।
গত মাসে চীনের হাংঝোতে ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ভাইরাসটি কমপক্ষে ৩০টি ভিন্ন ভিন্ন জিনগত সংস্করণে রূপান্তরিত হয়েছে। ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে এসব রূপান্তরের বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সম্ভাব্য সমস্যাগুলো এড়াতে এসব বিবেচনা করা প্রয়োজন।
টাইমস/জিএস