চাঁদাবাজি, হত্যার হুমকিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেয়ামত উল্লাহকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম এই মামলা দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী রফিকুল আলম।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম, এসআই মো. কামাল হোসেন, এসআই এ টি এম আমিনুল ইসলাম, এসআই বাসু দেব নাথ, এসআই কাজী মো. জাহাঙ্গীর আলম, এএসআই মো. আরিফুল ইসলাম, থানার সোর্স শেখ ফোরকান ও সোর্স বিকাশ চৌধুরী।
মামলার বিষয়ে ওসি নেয়ামত উল্লাহ বলেন, আদালতে অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ নেন ওই নামের কোনো টিভি বাংলাদেশে আছে কিনা। আমরা ভুয়া সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কথা বলেছি মাত্র। আপনারা পটিয়ার যে কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন, তারাও জানে ওই দিন কী হয়েছিল।
মামলার বিবরণীতে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘সিটিজি ক্রাইম টিভি’ নামের একটি অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম ১৭ নভেম্বর ক্যামেরাম্যান ও একজন শিক্ষানবিশ নারী সাংবাদিকসহ পটিয়া থানার ওসি নেয়ামত উল্লাহর কাছে যান। এ সময় তারা ওসির কাছে পটিয়ায় গৃহবধূ চুমকি হত্যার ঘটনার জানতে চান। ওসি তাদের নিজ কক্ষে নিয়ে ওই ঘটনার তথ্য না দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করাসহ নানা রকম হুমকি প্রদান করেন।
বিবরণীতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, এ ঘটনার পর ২৭ নভেম্বর দুপুরে আবারও রাশেদুল ইসলামের সহকর্মী সিটিজি ক্রাইম টিভির সাংবাদিক সাহেদুল ইসলাম, রতন বড়ুয়া ও গাড়ি চালক আনোয়ার হোসেন মামলা সংক্রান্ত রিপোর্ট করার জন্য পটিয়া থানায় যায়। এসময় ওসি নেয়ামতসহ বাকি আসামিরা তাদের আটক করে নির্যাতন চালায় এবং ক্যামেরা ও মোবাইলসহ সব সরঞ্জামাদি কেড়ে নেয়।
টাইমস/এএস/এইচইউ