করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন স্থাপনাকেও করোনার আপদকালীন চিকিৎসা কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় এবার করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় আইসোলেশন সেন্টার চালুর জন্য প্রয়োজনে যাত্রীবাহী লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার রাজধানীর সদরঘাটে নৌযানে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী একথা বলেন।
সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, অভ্যন্তরীণ নৌযান (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য যাত্রীবাহী লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে লঞ্চ মালিকদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোতে আইসোলেশন সেন্টার করা হলে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত লঞ্চের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে লঞ্চগুলোকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নৌযান শ্রমিক ও মালিকদের সহায়তার কথা জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, সরকার নৌযান শ্রমিকদের পাশে আছে। করোনাভাইরাসের সংকট উত্তরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকার নৌযান শ্রমিকদের সবধরণের সহযোগিতা করবে। সেই সঙ্গে লঞ্চ মালিকদের বিষয়ও সরকার দেখবে। নৌপরিবহন খাতটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই সরকার এই খাতের সুরক্ষার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
টাইমস/এসএন/এইচইউ