বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহৎ এ ধর্মীয় আসরটি আগামী ১৫, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এবার ইজতেমা দুই দফায় নয়, একবারই অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ইজতেমার বিবদমান উভয় পক্ষের মুরব্বিরাও উপস্থিত ছিলেন
এর আগে বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তাবলিগ জামাতের দ্বন্দ্ব নিরসনে বিবদমান দুই পক্ষকে এক করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে দুই পক্ষ এক হয়ে ইজতেমা আয়োজন করবে বলে একমত হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর উপস্থিতিতে তাবলিগ নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বৈঠকে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষে নেতৃত্ব দেন মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা ওয়াসিফুল।
প্রসঙ্গত, তাবলিগ জামাতের বিশ্ব আমির দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও নিজামুদ্দীন মারকাজের বিরোধিতা করছেন পাকিস্তান তাবলিগ নেতৃবৃন্দ। তাই তাবলিগের মূল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নিজামুদ্দীন মারকাজের সমান ক্ষমতা দাবি করে আলমি শুরা গঠন করে রাইভেন্ড মার্কাজ।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অংশদারিত্বের বিবাদে দিল্লি-লাহোর জড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়েই এর প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশে তাবলিগ জামায়াতের প্রধানকেন্দ্র কাকরাইল মসজিদেও ছড়িয়ে পড়ে এ বিভক্তি। ১১ জন শুরা সদস্যের মাঝে ছয়জন নিজামুদ্দীনের পক্ষে থাকলেও বাকি পাঁচজন আলমি শুরার পক্ষে অবস্থান নেন।
এ অংশের বিরোধিতায় বিগত বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ ও নিজামুদ্দীনের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ এসেও ইজতেমায় অংশ নিতে পারেননি।
পরে দুইটি পক্ষই আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমা ও জোড়ের তারিখ ঘোষণা করে। তাবলিগ জামাতের ইতিহাসে এ প্রথম ইজতেমা ও জোড়ের তারিখ নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
টাইমস/এইচইউ