২০১৮ সালে সারা দেশে পাঁচ হাজার ৫১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় সাত হাজার ২২১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া পঙ্গুত্ববরণ করেছেন অন্তত সাড়ে ১৫ হাজার ব্যক্তি। বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এই তথ্য।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংস্থাটি। সংবাদ সম্মেলনে ২০১৮ সালে সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথে দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদন তুলে ধরেন সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়লেও প্রাণহানির সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য কমেছে। ২০১৭ সালে সারা দেশে চার হাজার ৯৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হন সাত হাজার ৩৯৭ জন।
সড়কে চালকদের জবাবদিহি না থাকায় সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানকে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন বলে চিহ্নিত করেছে যাত্রীকল্যাণ সমিতি। অন্যদিকে মোটসাইকেল দুর্ঘটনার হার প্রায় ২৫ শতাংশ।
বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, বিপজ্জনক ওভারটেকিংসহ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছে সংঠনটি।
অন্যদিকে, ২০১৮ সালে রেলপথে ৩৭০টি দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় ৩৯৪ জন নিহত হন। আহত হন ২৪৮ জন। নৌপথে দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে ১৫০টি। এতে ১২৬ জন নিহত ও আহত হন ২৩৪ জন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ৩৮৭ জন।
গত বছর আকাশপথে পাঁচটি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫৫ জন ও আহত হয়েছেন ৩২ জন।
বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথ সব মিলিয়ে মোট ছয় হাজার ৪৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় সাত হাজার ৭৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৮০ জন।
এসব দুর্ঘটনা রোধে গণপরিবহন চালকদের প্রফেশনাল ট্রেনিং ও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করাসহ কয়েকটি সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।
টাইমস/এক্স