কারাবন্দি মুশতাকের মৃত্যু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দী অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে দেশ। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

এদিকে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছে বাম সংগঠনগুলো। রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

এছাড়া শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীতে মশাল মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী জয়।

লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত-বিচার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার অন্যান্যদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। এসময় মুশতাকের মৃত্যুকে ‘রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড’ বলে আখ্যা দেন আন্দোলনকারীরা। তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।

বিক্ষোভে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন বলেন, গত বছরের এপ্রিলে লেখনীর মাধ্যমে দুর্নীতি-লুটপাটের প্রতিবাদ করেছিলেন লেখক মুশতাক। তার অপরাধ ছিল, তিনি সাধারণ মানুষের পক্ষে ছিলেন। তিনি অব্যবস্থাপনা-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন। তাই কারাগারে আটকে রেখে তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন বলেন, লেখক মুশতাক ৯ মাস ধরে কারারুদ্ধ ছিলেন। মানুষের অধিকারকে অস্বীকার করার শেষ পর্যায়ে চলে গেছে সরকার। সরকারের মদদে লেখক মুশতাককে হত্যা করা হয়েছে।

বিক্ষোভে আরও বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দীন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের দপ্তর সম্পাদক রাজেন্দ্র চাকমা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে লেখক মুশতাক আহমেদ (৫৩) কারাবন্দি থাকা অবস্থায় মারা যান। তিনি গাজীপুরের কাশিমপুরে হাই সিকিউরিটি কারাগারে ছিলেন।

টাইমস/এসএন