ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা।
নুসরাতে আগুন দেয়ার সময় নিচে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন এই মামলার অন্যতম আসামি মহিউদ্দিন শাকিল। তাকে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ফেনী শহরের পূর্ব উকিলপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম শাকিলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন শাকিল। তিনি উপজেলার উত্তর চর চান্দিয়া এলাকার প্রবাসী রুহুল আমিনের ছেলে। শাকিলসহ এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ২২ জনে।
নুসরাত হত্যা মামলার আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম ও নুর উদ্দিন দায় স্বীকার করে ফেনীর আদালতে জবানবন্দি দেন। ১৪ এপ্রিল দেয়া তাদের জবানবন্দিতে উঠে আসে- হত্যার পরিকল্পনা ও হত্যাকাণ্ডের দিন পাহারার দায়িত্ব ছিলেন শাকিল। একই জবানবন্দি দিয়েছিলেন গ্রেপ্তার আরেক আসামি আবদুল কাদের।
নুসরাত জাহান রাফি পরীক্ষা দিতে গেলে ৬ এপ্রিল দুর্বৃত্তরা তাকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। গুরুতর অবস্থায় ওই দিন রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ১০ এপ্রিল তিনি মারা যান।
টাইমস/এসআই