নাটোর নলডাঙ্গায় উপজেলার বাঁশিলা গ্রাম থেকে এক মা ও তার দুই বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে মা উম্মে হালিমা শারমিন বেগমকে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় আর শিশু আব্দুল্লাহকে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহত শারমিন বেগমের স্বামীর নাম মাহমুদুল হাসান মুন্না। তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, বাড়ির লোকজন ভোরে সেহরি খাওয়ার জন্য উঠলে শারমিনের ঘরের সব দরজা জানালা বন্ধ দেখতে পান। এসময় তারা শারমিনকে সেহরি খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করতে থাকেন।
দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করলেও ঘরের ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি সন্দেহজনক হলে তারা প্রতিবেশীদের খবর দেয়। পরে ঘরে প্রবেশ করে তারা গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মেঝেতে শারমিনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
এ সময় ঘরের জিনিসপত্র মেঝেতে এলোমেলো অবস্থায় পড়ে ছিল। শারমিনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে সবাই শিশু আব্দুল্লাহকে খুঁজতে থাকেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। পরে সকালের দিকে বাড়ির পাশে পুকুরে শিশুটির লাশ ভেসে উঠে।
নলডাঙ্গা থানার ওসি শফিকুর রহমান বলেন, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শারমিন বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর শিশুটিকে পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। লাশ দুটির ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
টাইমস/জিএস