খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ৫৭ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিককে নূন্যতম অগ্নি প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেই। সম্প্রতি এমন তথ্য দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। তাই যে কোন সময় বড় ধরনের অগ্নি-দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে এসব হাসপাতালে।
এ বিষয়ে সতর্ক করে সম্প্রতি খুলনার ৫৭টি হাসপাতাল ও ক্লিনিককে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে।
অগ্নি-ঝুঁকিতে থাকা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে- খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহিদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, ফরটিস এসকটস হার্ট ইন্সটিটিউট, আদ্ব দীন আকিজ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ল্যাব এইড লিমিটেড (ডায়াগনস্টিক), গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খালিশপুর ক্লিনিক, জেনারেল হাসপাতাল, খুলনা শিশু হাসপাতাল, সন্ধানী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, নার্গিস মেমোরিয়াল হাসপাতাল, সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতাল, মমতা ক্লিনিক, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, খুলনা বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল ইত্যাদি।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, চলতি বছরের শুরুতে মহানগরসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে জরিপ করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিন সদস্যের একটি দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স খুলনার উপ-সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল বাহার বুলবুল। অন্য দুই সদস্য হলেন- ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন খুলনা সদরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার (চ.দা.) মো. সাঈদুজ্জামান এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স খুলনা-১’র ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর নুরুল আল রাজিব।
জরিপে সরকারি ও বেসরকারি সব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার প্রমাণ মিলেছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে হজরিল বা হোসপাইপ সিস্টেম নেই। নেই কোনো ইমার্জেন্সি এক্সিট সিস্টেম। ফায়ার এলার্মের মতো জরুরি ব্যবস্থাও অনেক প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায়নি। এমনকি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ফায়ার স্ট্রিংগুইসারের দেখা মেলেনি। দু’একটি প্রতিষ্ঠানে ফায়ার স্ট্রিংগুইসার দেখা গেলেও সেগুলো পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবলও নেই। যার কারণে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানগুলোতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য নোটিশসহ পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের খুলনার উপ-সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল বাহার বুলবুল বলেন, নগরীর মধ্যে স্বনামধন্য অনেক প্রতিষ্ঠানেই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই। এগুলোর মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
টাইমস/এইচইউ