কিশোরগঞ্জের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সেতাফুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিস ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ১৭ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার পর সেতাফুল ইসলামকে পিরোজপুর সার্কিট হাউস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে সেতাফুল জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের প্রায় ১৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান। এর মধ্যে পরপর দুই দিনে তিনি সোনালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখা থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা তুলে বস্তায় ভরে নিয়ে যান।
সেতাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর অভিযান চালিয়ে কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্তে এ ঘটনায় আরও আটজন জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। তদন্ত কর্মকর্তা মোট নয়জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মঙ্গলবার বিকাল চারটার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে সেতাফুল ইসলামের সহযোগী ও মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি মো. সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। কমিশনের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদের নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
সিরাজুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের সাবেক জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এবং বর্তমানে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মহাহিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাইমস/এসআই