মোটরসাইকেল তল্লাশি করে আরোহীর কাছ থেকে ইয়াবা জব্দ করে এপিবিএনের কয়েকজন পুলিশ সদস্য। পরে সেগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা ও বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। খবর পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে এপিবিএন পুলিশের একটি দল।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ পুলিশ সদস্যের মধ্যে দুইজনের ফের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহীনুর রহমান এই দু’জনের ফের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে দুইদিনের রিমান্ড শেষে ফের পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে তুলা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক পরিদশ চন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুই পুলিশ সদস্য হলেন- এপিবিএনের কনস্টেবল মো. রনি মোল্ল্যা (২১) ও কনস্টেবল মো. শরিফুল ইসলাম (২৩)।
এছাড়া এই মামলায় আরও তিন পুলিশ সদস্য রিমান্ডে আছেন। তারা হলেন- গুলশান থানার এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজী (৪৪), এপিবিএনের কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল (২৩) ও নায়েক মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৭)।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে এই মামলায় এপিবিএনের চার পুলিশ সদস্য এবং গুলশান থানার এক এএসআইকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে উত্তরার এপিবিএন-১ সদর দপ্তরের ব্যারাক ভবনের চতুর্থ তলার বাথরুমের সামনে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ইয়াবার ভাগবাটোয়ারা করছেন। খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতনদের অনুমতি নিয়ে সেখানে অভিযান চালায় এপিবিএন-১ এর এসআই মো. আবু জাফরের নেতৃত্বে একটি ফোর্স।
অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রথমে কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডলের দেহ তল্লাশি করে তার পরিহিত ফুল প্যান্টের ডান পকেট থেকে ১৫৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অভিযান চালানো হয় মণ্ডলের ব্যারাকের রুমে। সেখানে তার কাপড়ের ট্রাঙ্ক থেকে আরও ৩৯৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর শরিফুলকে ইয়াবা বিক্রির নগদ ১৫ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
শরীফুলকে জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে জানায়, সে রনি মোল্ল্যার কাছ থেকে ১৮৫০০ টাকায় ১৫০ পিস ইয়াবা কিনেছে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় রনিকে।
সর্বশেষ প্রশান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, ১১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬টায় গুলশানের গুদারাঘাট চেকপোস্টে একটি মোটরসাইকেল তল্লাশি করে আরোহীর কাছ থেকে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে যোগসাজশ করে তাকে ছেড়ে দিয়ে তার কাছে থাকা ২০০ পিস ইয়াবা গুলশানের এএসআই মাসুদ মিয়াজী তার হেফাজতে রাখে। বাকি ১৫০ পিস নেয় জাহাঙ্গীর আলম।
পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ৩৬ (১) ও ৪১ ধারায় মামলা করা হয়।
টাইমস/এইচইউ