কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রামে কৃষক মো. মজনু। ৬০ বছর বয়স। গ্রামে তার পাকা বাড়ি। বাড়ির সামনে পাকা ফটক। তার জায়গা-জমি আছে। দুই ছেলের বিয়ে হয়েছে। তারাও বেশ সচ্ছল।
শনিবার বিকালে মেয়ের বাড়ি থেকে ছেলে মজনুর বাড়িতে যান তার মা। কিন্তু মজনু তাকে ঘরে ঢুকতে দেননি, বাড়ি থেকে বের করে দেন। প্রতিবেশীরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এমনকি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য গিয়েও মাকে ওই বাড়িতে রাখার বিষয়ে মজনুকে রাজি করাতে পারেননি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত মজনুকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল মারুফ শনিবার রাত সোয়া নয়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বৃদ্ধার ছেলে মজনু মিয়াকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেন। তবে রোববার সকালে ওই ছেলেকে ফেরাতে মা থানায় যান। ততক্ষণে ছেলেকে কুষ্টিয়া কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোহেল মারুফ বলেন, মজনুকে দণ্ড দিয়ে রাতেই কারাগারে পাঠানো হয়। আর মাকে তার মেয়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে ছেলে কারাগারে থাকবে— এমনটা মেনে নিতে পারেননি মা। রোববার সকালে ইউএনওর কাছে ছুটে যান। ছেলে ভুল করেছেন জানিয়ে তাকে ফেরত নিতে চান।
এ বিষয়ে ইউএনও সোহেল মারুফ বলেন, মা চাইছেন না ছেলে কারাগারে যাক। কিন্তু কিছু করার নেই। দণ্ড হয়ে গেছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আপিল করলে জামিন পেতে পারেন মজনু। এ ছাড়া কিছু করার নেই। তা ছাড়া কোনো সন্তান এভাবে মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিক, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
টাইমস/এসআই