জুয়াড়িদের কাছ থেকে তিন বার ফোন পেয়েও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল(আইসিসি) না জানানোয় দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট নক্ষত্র সাকিব আল হাসানকে। তবে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় তার সাজা এক বছরের জন্য কমিয়েছে আইসিসি।
মঙ্গলবার আইসিসির তরফ থেকে এই জানানো হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের টেস্ট ও টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আইসিসির অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিটের (আকসু) নিয়ম অনুযায়ী, ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পরও যদি সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের বোর্ড কিংবা আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে না জানানো হয়, তাহলে সে অপরাধে ৬ মাস থেকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে।
প্রথমবারের মতো আইসিসির শাস্তির মুখোমুখি হলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে বিসিবি থেকে এর আগেও বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা ও শাস্তি পেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সাকিবকে ২০১৪ সালে প্রথমবার নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেবার শ্রীলংকার বিপক্ষে একটি ম্যাচে টেলিভিশন ক্যামেরার দিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন তিনি। এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর মুখে পড়ে প্রথমে তাকে ৩ ম্যাচ নিষিদ্ধ করে বোর্ড। পরে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করে বোর্ডের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
বোর্ডের শৃঙ্খলাভঙ্গ ও আচরণগত সমস্যার অভিযোগে একই বছরের ৭ জুলাই ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক সব ধরনের ক্রিকেটে ৬ মাস নিষিদ্ধ হন সাকিব। এছাড়া পরবর্তী দেড় বছর দেশের বাইরে কোনো টুর্নামেন্টে খেলার জন্য তাকে এনওসি (অনাপত্তিপত্র) না দেয়ারও ঘোষণা দেয় বিসিবি। অবশ্য পরবর্তীতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় ক্রিকেট বোর্ড। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৩ মাস কমানো হয়।
সর্বশেষ মঙ্গলবার আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লেন তিনি।
টাইমস/এইচইউ