সৌন্দর্যের আরেক নাম রংপুরের ইটাকুমারী জমিদার বাড়ি

“দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া,
একটি ধানের শিষের উপর
একটি শিশির বিন্দু।”

সুজলা-সুফলা শস্য শ্যামল আমাদের এই দেশ বাংলাদেশ। চারদিকে চোখ মেলে তাকালে এর সৌন্দর্য আমাদের বিমোহিত করে। এই অপরূপ দৃশ্য দেখলে মন ভরে যায়। মনে হয় যেন স্বর্গের থেকেও সুন্দর আমাদের এই দেশ। এই দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন স্থাপনা। তেমনই একটি সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান রংপুরের ইটাকুমারী জমিদারবাড়ি।

রাজা শিব চন্দ্র এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন। রংপুরে প্রজা ও কৃষকদের রক্ষার জন্য শিব চন্দ্র এবং দেবী চৌধুরানী এই বাড়ি থেকে কৃষক বিদ্রোহের পরিচালনা করেন। তাদের নেতৃত্বে কৃষক ও সাধারণ মানুষ দেবী সিংহের অত্যাচার থেকে রংপুরের কৃষক-প্রজারা রক্ষা পেয়েছিলেন। ইটাকুমারী জমিদারবাড়ি ছিলো তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার দ্বিতীয় নবদ্বীপ। শিক্ষা ও সংস্কৃতির বাতিঘর হিসেবে ইটাকুমারীর খ্যাতি গোটা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিল।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমারোহের মধ্যে তার গৌরব ও ঐতিহ্য নিয়ে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে এই ইটাকুমারী জমিদার বাড়ি। এখানকার প্রধান আকর্ষণ জমিদার বাড়ির কারুকার্য ও সৌন্দর্য। এখানে রয়েছে দুটি প্রাচীন জমিদার বাড়ি, মন্দির, বিশালাকার পুকুর ও বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই বাড়িটি গ্রামীণ জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে। 

যাওয়ার উপায়: ঢাকা থেকে বাসে যেতে হবে রংপুর। এজন্য গ্রীন লাইন, টি আর ট্রাভেলস, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহনসহ বেশ কিছু বাস সার্ভিস রয়েছে। শ্রেণীভেদে ভাড়া লাগবে ৫০০ থেকে ১১০০ টাকা। বাস থেকে নেমে রংপুর শহরতলী থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে রিক্সা, অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস সহযোগে যাওয়া যায় ইটাকুমারী জমিদার বাড়ি।

থাকার ব্যবস্থা: রংপুর শহরে থাকার জন্য বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। হোটেল শাহ আমানত, হোটেল গোল্ডেন টাওয়ার, হোটেল দি পার্ক, হোটেল তিলোত্তমা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

খাবার সুবিধা: খাবারের জন্যও রংপুর শহরে পাবেন বিভিন্ন মানে খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট।

 

টাইমস/এসআর/এইচইউ

Share this news on: