জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনে কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পর ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বিকেল ৫টার পরও লাইনে থাকা অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ভোট দেন। সকাল ১০টা থেকেই কেন্দ্রটিতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা জানান, একজন ভোটারকে ভোট দিতে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।
এ বিষয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৯৯৩ জন। সকাল থেকেই ছাত্ররা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছিল। দুপুর পর্যন্ত দেখা গেছে, কোনো কোনো ছাত্র ভোট দিতে ২০-২৫ মিনিট সময় নিয়েছে। আমরা প্রতি ভোটারের জন্য ৮ মিনিট ধরে বুথ সংখ্যা নির্ধারণ করেছিলাম। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, অনেকেই ৪০ মিনিট পর্যন্ত বুথের ভেতর অবস্থান করেছে। এতে আমাদের নির্ধারিত সময়সূচি কার্যকর হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিকেল ৫টার মধ্যে যেসব ছাত্র লাইনে ছিল, তাদের ভোট গ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলেছে। ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সময় নির্ধারিত থাকলেও, পরিস্থিতির কারণে তা দুই ঘণ্টা বাড়াতে হয়েছে।’
ভোট কারচুপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কোনো শিক্ষার্থী বা পোলিং এজেন্টের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আমরা নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। সব প্যানেলের এজেন্টরাই ভোট শেষে পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। এখানে কারচুপির সুযোগই নেই–ছাত্ররা আছে, মিডিয়া আছে, সিসি ক্যামেরায় সবকিছু রেকর্ড হচ্ছে।’
এদিকে অনিয়ম, অস্বচ্ছতা ও পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল। একই সময়ে ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) প্যানেল ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানায়। বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরাও কারচুপি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেন।
তবে শিক্ষার্থীদের অনেকেই এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক দোষারোপ হিসেবে দেখছেন এবং শেষ সময় পর্যন্ত ভোটগ্রহণে অংশ নিয়েছেন।
ইএ/টিএ