ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের জয়ের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. জাহেদ উর রহমান।
ছাত্রশিবির জিততে যাচ্ছে, এটা অনুমান করা যাচ্ছিল। আমি কিছুদিন ধরে যেসব টক শোতে গেছি সেখানে ছাত্রশিবির সম্পর্কে এ অনুমান বলে জানান তিনি। সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয় এক বছর থেকে ছাত্রশিবির এই নির্বাচনটাকে কেন্দ্র করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। তারা অনেক আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের নানা কাজে সাহায্য করার চেষ্টা করে। ছাত্রশিবিরের অনেক কোচিং সেন্টার আছে, ভর্তি কোচিংয়ের সময় থেকেই তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেই শিক্ষার্থীরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে তার প্রয়োজন-অপ্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করে।
হলগুলোতে তারা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করেছে, কোনো শিক্ষার্থী যদি আর্থিক সংকট থাকে তাকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আধুনিক পানির ফিল্টার দেওয়াসহ শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু কল্যাণমূলক কাজ করার চেষ্টা করেছে তারা।’
তিনি বলেন, ‘খেয়াল করবেন তারা ধর্মকে খুব বেশি সামনে নিয়ে আসেনি এবার। তারা এক ধরনের সেন্টার রাইটের দৃষ্টিভঙ্গির মতো এবং একজন নারী ক্যান্ডিডেট তাদের প্যানেলে ছিলেন, যিনি হিজাব দূরে থাকুক ওড়না মাথায় দেন না—মানে যেটা শিবিরের সঙ্গে নেওয়া যায় না। এই ধরনের একটা ইমেজও দেখানোর চেষ্টা করেছেন এবং দিনের শেষে আমার কাছে মনে হয় যে তারা শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেছে, কঠিনভাবে কাজ করেছে।’
ছাত্রদলের পরাজয়ের বিষয়ে এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ‘নির্বাচনে ছাত্রদল যাবে কি যাবে না এই সংশয়ে বিএনপি ভুগছিল দীর্ঘদিন। তারা এই নির্বাচনটা প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে করতে চায়নি। পরে তারা যখন সিদ্ধান্ত নিল, প্যানেল দিতে দেরি করল এবং তাদের ক্যাম্পেইনের জন্য খুব বেশি সময়ও আসলে হাতে ছিল না। সুতরাং কিছু চমক দেখানো আর সাংগঠনিকভাবে ভিত্তি তৈরি করে সেই ভিত্তিকে দিয়ে সবার সঙ্গে পারসন টু পারসন কমিউনিকেট ডিফারেন্ট জিনিস।
ইউটি/টিএ