নিপীড়ন, সন্ত্রাস ও রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এই গণশপথের মধ্য দিয়ে আবরার হত্যার বিচার দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের মাঠের আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটল।
বুধবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে তারা এই গণশপথ নেন। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এক সারিতে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।
শপথ অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও বিভিন্ন হলের প্রভোস্টবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শপথবাক্য পাঠ করান বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিয়া রিমকি।
গণশপথে শিক্ষার্থীরা যেকোনো সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রুখতে এবং ক্যাম্পাসে আর যেন কোনো শিক্ষার্থীর খুন হতে না হয়, সেজন্য তারা সবাই সোচ্চার থাকবেন বলে ঘোষণা দেন। ১০ দফা দাবির বাস্তবায়ন ও সামনের আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রাখবেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আরিফ ইবনে আলী বলেন, গণশপথের মধ্য দিয়ে মাঠের আন্দোলন শেষ হল৷ মাঠের আন্দোলন শেষ হলেও দাবিগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ চলবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, চার্জশিট গঠনের পর আমরা অতিদ্রুতই অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করব। আমরা সামনের পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলছি। শিক্ষার্থীরা আগের থেকে এখন অনেক পজিটিভ হয়েছে। ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা যে সিদ্ধান্ত নেয় তাই আমরা গ্রহণ করব।
গত ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুমে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় আবরারকে। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে।
টাইমস/এইচইউ