ভারতের যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে যুক্ত ক্রিকেটারদের তারা বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অনুমোদন দেয় না। তাই তো বিদেশি লিগ খেলার লক্ষ্যে ভারতীয় ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এবার তার লক্ষ্যও পূরণ হওয়ার পথে। অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগের অন্তত চারটি দল আগ্রহ দেখাচ্ছে অশ্বিনের জন্য। যেকোনো একটিতে চুক্তিবদ্ধ হলেই প্রথমবারের তাকে বিগ ব্যাশে দেখা যাবে।
ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিগ ব্যাশ খেলার সুযোগ ছাড়াও অশ্বিনকে দেখা যেতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল২০–তেও। যেখানে তার ভিত্তিমূল্য সর্বোচ্চ ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ধরা হয়েছে। আগামী ১ অক্টোবর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে আইএল টি-টোয়েন্টির নিলাম। সেখানে বিক্রি হলে টুর্নামেন্টটি হবে অশ্বিনের প্রথম কোনো বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে যুক্ত হওয়ার নজির।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, ৩৯ বছর বয়সী এই ভারতীয় সাবেক অলরাউন্ডার ছাড়াও দেশটি থেকে ২৪ জন নিলামের তালিকায় আছেন। সবমিলিয়ে আইএল২০–এর নিলামে ডাকার অপেক্ষায় আছেন ৮০০ ক্রিকেটার। সেখান থেকে চলতি সপ্তাহে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর চাহিদা অনুসারে চূড়ান্ত তালিকায় সংখ্যাটি আরও কমিয়ে আনা হবে। ৬ দলের অংশগ্রহণে আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে আইএল২০–এর চতুর্থ আসর। যেখানে পুরো টুর্নামেন্টের জন্য পাওয়া যাবে উল্লেখ করেই নাম জমা দিয়েছেন অশ্বিন।
এ ছাড়া আসন্ন বিগ ব্যাশে এই স্পিন-অলরাউন্ডারকে পেতে আগ্রহ দেখিয়েছে ৪টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। তারা হচ্ছে সিডনি থান্ডার, হোবার্ট হারিকেন্স, সিডনি সিক্সার্স ও অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স। ক্রিকইনফোর তথ্যমতে– ভারতীয় এই কিংবদন্তি স্পিনারকে পাওয়ার দৌড়ে রিকি পন্টিংয়ের দল সিডনি থান্ডার ও ডেভিড ওয়ার্নার নেতৃত্বাধীন হোবার্ট হারিকেন্স এগিয়ে। চলতি সপ্তাহেই কোনো এক দলের সঙ্গে তার চুক্তি সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে। যদিও অশ্বিনকে তারা পাবে কেবল শেষ ৩-৪টি ম্যাচ ও ফাইনালে। অবশ্য কেবল এই আসরই নয়, ২০২৬-২৭ মৌসুমের জন্যও চুক্তি সেরে নেবে বিগ ব্যাশের দল।
বিগ ব্যাশে প্রতিটি দল কেবল তিনজন বিদেশি ক্রিকেটারকে একাদশে রাখতে পারে। প্রতিযোগী আটটি দলই প্রি-সিজন ড্রাফট থেকে ইতোমধ্যে ন্যূনতম তিনজন করে বিদেশি নিয়েছে নিজেদের স্কোয়াডে। তবে সাইনিং করাতে পারবে চার কিংবা আরও বেশি খেলোয়াড়কে। বিগ ব্যাশের মাঝে কেউ অন্য লিগে খেলতে গেলে, তার রিপ্লেসমেন্ট হিসেবেও নেওয়া হতে পারে অশ্বিনকে। আসন্ন বিগ ব্যাশ শুরু হবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে, ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে লিগ পর্ব চলবে অন্যতম জনপ্রিয় এই টুর্নামেন্টের। ২০-২৫ জানুয়ারির মধ্যে হবে ফাইনাল।
কেবল অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় ক্রিকেটাররাই বিসিসিআই থেকে বিদেশি লিগে খেলার অনুমোদন পায়। এর আগে দিনেশ কার্তিক প্রথম ভারতীয় হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ২০ লিগে পার্ল রয়্যালস এবং আম্বাতি রাইডু ২০২৩ সালে সিপিএলে সেন্ট কিটস ও নেভিস প্যাট্রিয়টসের হয়ে খেলেছেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালে আইএল২০–তে রবিন উথাপ্পা এবং ইউসুফ পাঠান, আরও দুই বছর আগে আবুধাবি টি১০ লিগে খেলেন সুরেশ রায়না।
এবি/টিএ