এশিয়া কাপের দলে শ্রেয়াস আইয়ারকে না রাখায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল ভারতের নির্বাচকরা। জাতীয় দল যখন এশিয়া কাপ খেলায় ব্যস্ত, আইয়ার অস্ট্রেলিয়া 'এ' দলের বিপক্ষে লাল বলের সিরিজে ভারত 'এ' দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে এই সিরিজের দল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে কিছুদিনের জন্য বিরতি নিতে চান শ্রেয়াস আইয়ার। ভারতের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বিসিসিআই'কে অনুরোধ করেছেন, যেন তাকে সাময়িকভাবে লাল বলের ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার অনুমতি দেয়া হয় এবং নিজের ফিটনেস পুনর্গঠনের দিকে মনোযোগ দিতে পারেন।
তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া 'এ' দলেরবিপক্ষে চারদিনের ম্যাচ থেকে নাম প্রত্যাহারের পর। ম্যাচটিতে ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করার কথা ছিল তার। লখনৌয়ে প্রথম ম্যাচটি খেলার পর তিনি ভারতের ক্রিকেট বোর্ডকে অনুরোধ জানান এবং প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকারের সঙ্গেও কথা বলেন।
দুলীপ ট্রফিতে খেলার সময় শারীরিক অস্বস্তি বোধ করাই এই বিরতির মূল কারণ বলে জানা গেছে। পশ্চিমাঞ্চলের বিপক্ষে খেলার সময় অস্বস্তি টের পান তিনি, যা পরবর্তীতে 'এ' দলের হয়ে প্রথম ম্যাচটি খেলার সময়ও পুনরাবৃত্তি হয়। ম্যাচ শেষে তিনি বিসিসিআইয়ের ফিজিও এবং ভারত ‘এ’-এর কোচ ঋষিকেশ কানিতকরের সঙ্গে কথা বলেন এবং তারপর বিসিসিআইকে চিঠি লিখে লখনৌ থেকে মুম্বাই ফেরেন।
২০২৩ সালে আইয়ার পিঠে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। তবে তিনি এখনই টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করার কথা ভাবছেন না। বোর্ডের এক সূত্র জানায়, 'সে শুধু বিরতি চাইছে। ফিটনেস নিয়ে কাজ করার পর লাল বলের ক্রিকেটে নতুনভাবে ফিরবে।' ফলে আসন্ন মৌসুমে তার মুম্বাইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফি মিস করার সম্ভাবনা প্রবল। আইয়ার এ পর্যন্ত ১৪টি টেস্ট ও ৭০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন, যার বেশিরভাগ মুম্বাইয়ের হয়ে।
তবে সাদা বলের ক্রিকেট চালিয়ে যেতে চান আইয়ার। অস্ট্রেলিয়া সফরের ওয়ানডে সিরিজে তিনি অটোচয়েজ হিসেবেই দলে থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এমনকি টি২০ দলে ডাক পেলেও অবাক করার মতো কিছু হবে না। ভারত ১৯ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও পাঁচটি টি২০ খেলবে।
এবি/এসএন